Heritage Hotel: দোতলা বাসেই হবে খাবারের ব্যবস্থা! কলকাতা নয়, হুগলির কেন্দ্রেই অবস্থান এই হেরিটেজ রেস্তোরাঁর

খাদ্যরসিক বাঙালির প্রতিদিনই কিছু নতুনত্ব চাই। প্রসঙ্গ যদি খাবার-দাবারের বিষয়ে হয়, তাহলে বাঙালিরা কখনই পিছপা হয় না। গোটা সপ্তাহে কর্মব্যস্ততার মাঝে হয় তো প্রতিদিন বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু ছুটির দিনগুলিতে সকলেরই মনে জেগে ওঠে বাইরে খাওয়ার ইচ্ছা। আর সেই ইচ্ছা পূর্ণ করতেই পরিবার বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়ে চলে খাওয়া-দাওয়া সঙ্গে আড্ডা। বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাফে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার চাহিদা মানুষের বেড়েই চলেছে। আর এই চাহিদার জন্যই কলকাতার বুকে প্রতিদিনই গড়ে উঠছে নতুন নতুন ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট।

বিভিন্ন রকমের থিমের রেস্টুরেন্ট আমরা আগেও দেখেছি। কিন্তু কখনও একটি গোটা বাসের মধ্যে রেস্টুরেন্ট দেখেছেন কি? ঠিকই শুনেছেন! একটি আস্ত বাসের মধ্যেই রয়েছে রেস্তোরাঁ। দেখে মনে হবে পাশ্চাত্য দেশের রেস্টুরেন্টগুলির আদলে তৈরি হয়েছে এটি। কিন্তু রয়েছে দেশি ছোঁয়াও। বাসটি কলকাতার প্রসিদ্ধ ডাবল ডেকার বাস। যদিও এখন তিলোত্তমার বুকে এই বাস চলতে দেখা যায় না।

img 20220818 205452

দিল্লি রোডের ধারেই চোখে পড়বে নীল সাদা রঙের এই বাস। এর অবস্থান চন্দননগর এবং চুঁচুড়ার মধ্যবর্তী অংশে। হোটেলের নাম হেরিটেজ ধাবা ( Heritage Dhaba ) । জানা গিয়েছে, হোটেলের আশেপাশের পরিবেশ যেমন সুন্দর ঠিক তেমনই সুন্দর এখানকার খাবার দাবার। রেস্টুরেন্টটি দেখলেই মনে হয় আস্ত যেন একটি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে। প্রথম ঝলকে একেবারেই বোঝা যাবেনা যে সেটি বাস না রেস্টুরেন্ট।

img 20220818 210310

জানা গিয়েছে, চন্দননগর টাউনে নাকি এই ধাবা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এই বিশাল বাস দাঁড় করানোর জন্য প্রয়োজন বিশাল জায়গার। কিন্তু সেখানে তার অভাব ছিল। এই কারণে দিল্লি রোডের উপরেই তৈরি করা হয়েছে এই রেস্তোরাঁ। তবে একেবারে প্রাইম লোকেশনে হোটেলটি না থাকায় যে ব্যবসায় কোনও সমস্যা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। প্রতিদিনই লোকজন এই রেস্তোরাঁয় আসছে। এখানকার খাবার দাবার খেয়ে প্রশংসাও করছে অনেকে। আপনিও যদি সপ্তাহের শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে এই রেস্তোরাঁয় গেলে কিন্তু মন্দ হয় না।




Back to top button