অল্পেতেই হচ্ছে রাগ! সময় থাকতে সাবধান হন, মানসিক অশান্তির সাথে ডেকে আনছেন এই সমস্যাগুলিও

হাসি, কান্না, আবেগ এর মতন “রাগ (Anger)”-ও মানবজাতির একটি সাধারণ অনুভূতি। তবে এর প্রভাব মানবজাতির ওপর ভয়ংকর রকমভাবে পড়তে পারে। রাগের বহিঃপ্রকাশ যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তেমনভাবেই মনের মধ্যে রাগ চেপে রাখলেও নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তাই মানুষের রাগ করাটা স্বাভাবিক হলেও, অতিরিক্ত মাত্রায় সেটিকে না নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। তবে অনেক মানুষ আছেন, যারা রাগকে নিজের ভিতর চেপে রাখতেই পছন্দ করেন, যাতে বাহ্যিকভাবে এর কোনো প্রভাব না পরে। কিন্ত এরফলে শরীরের ভিতরে অনেক বেশী ক্ষতিকর প্রভাব পরে। এই ধরনের মানুষের জন্য সতর্কতার বার্তা দিয়েছে বোল্ডস্কাই নামক একটি গবেষণাকারী সংস্থা।

তাদের গবেষণা থেকে জানা গেছে, রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো শরীর ও মানসিক শান্তির জন্য প্রয়োজন। এরফলে মন হালকা ও ফুরফুরে থাকে। তবে রাগ মনের ভিতর পুষে রাখলে অনেক পরিমাণে মস্তিষ্কে চাপ পরে, এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা মস্তিষ্কের জটিল কোনো রোগ হতে পারে। স্ট্রোক সেন্টারের তথ্যসূত্র অনুযায়ী, প্রতিবছর আমেরিকায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ব্রেন স্ট্রোকের কারণে মারা যান, ভারতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যা প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি।

রাগ আমাদের কি কি ধরনের ক্ষতি করে,রাগের বশবর্তী হলে যে প্রভাবগুলি আমাদের ওপরে পড়ে,রাগ আমাদের কি কি মানসিক ও শারীরিক ব্যাঘাত ঘটায়,kind of harm does anger do to us,effects of anger,mental and physical disturbances due to anger

অতিরিক্ত রাগ মানুষের যে যে শারীরিক ক্ষতি করে, সেগুলি হল :

১) অতিরিক্ত রাগ হলে মানবদেহ থেকে অ্যাড্রিনালিন হরমোন ক্ষরণ হতে শুরু করে।

২) অতিরিক্ত রাগ শরীরে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি মাইগ্রেন, অ্যাসিডিটি প্রভৃতি শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।

৩) হঠাৎ করে অতিরিক্ত রাগের ফলে আমাদের মস্তিষ্কের রক্তপাত গুলো কিছুক্ষণের জন্য চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার ফলে ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে।

৪) অতিরিক্ত রাগের কারণে ব্রেন স্ট্রোক, কিডনি ও স্থূলত্বের সমস্যার সম্ভাবনা থাকে।

৫) রাগ অতিরিক্ত হয়ে গেলে হার্ট রক্ত পাম্প করতে পারে না, ফলে হৃৎপিন্ডের ক্ষতি হয়।

৬) আলসার, বদ হজমের মতন রোগ রাগ থেকেও হয়ে থাকে।

৭) রাগ ত্বকের ওপরেও প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত রাগের কারণে ব্রণ, পিম্পল প্রভৃতি রোগ ও হয়ে থাকে।

তাই রাগের বশবর্তী না হয়ে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিজেকে হাসিখুশি ও ডিপ্রেশন মুক্ত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।




Back to top button