Egg Vegetarian or Non Vegetarian: সব বিতর্কের অবসান! ডিম আমিষ না নিরামিষ শিলমোহর দিলেন বিজ্ঞানীরা

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ বাংলা ভাষায়ে চলতি একটা কথা রয়েছে! ডিম ( egg ) আগে না মুরগি আগে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর কি তা নিয়ে শুধু বিজ্ঞানীদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্ব রয়েছে আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের মনেও। আরও যে প্রশ্নটি নিয়ে জলঘোলা রয়েছে তা হল ডিম আমিষ নাকি নিরামিষ ( Egg Veg Or Non Veg )? সাধারণত, ডিমকে আমিষের পাতেই রাখা হয়। ডিম যেহেতু মুরগির শরীরের থেকে আসে তাই তার থেকে শত হাত দূরে থাকেন নিরামিষভোজীরা।
তবে অনেক নিরামিষাশীরাই ভেজিটেরিয়ান ডায়েটে ডিম রেখে নিজেদের ‘এগেটেরিয়ান’ বলে দাবি করেন। কারণ, ডিম খেতে পছন্দ করেন না এরকম মানুষের অস্তিত্ব বিরল বললেই চলে। মধ্যবিত্তের পকেটবন্ধু ডিম আসলে প্রোটিন ও ভিটামিনে ঠাসা সহজপাচ্য একটি খাবার। রোগব্যাধিকে দশ হাত দূরে রেখে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তবে শুধু আমিষ বলে এই সুস্বাদু খাবারটিকে কি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেন দিয়েছেন? তবে কি আপনার ডায়েটের পুষ্টিগুনের সঙ্গে সমঝোতা করলেন?
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা যুক্তি দিয়ে চিরাচরিত ডিম-মুরগির দ্বন্দ্বকে খণ্ডন করেছেন। তাঁদের মতে ডিমের তিনটি অংশ। খোসা, সাদা অংশ ও কুসুম। ডিমের সাদা অংশটি অ্যালবুমিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। আর কুসুমে থাকে প্রোটিন, ফ্যাট ও কোলেস্টেরল। আমরা যে ডিম খাই আতে ভ্রুন থাকে না। সাধারণত, একটি মুরগি ছয়মাস বয়সের পর প্রতি দেড় দিন অন্তর একটি করে ডিম পারে। মুরগির ডিম পারার জন্য যৌন মিলনের প্রয়োজন হয়না। তাই যে সমস্ত ডিম বাজারে বিক্রি হয় তা আধেও নিষিক্ত নয়।
তাই বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন ডিম আধেও আমিষ নয়, ডিম নিরামিষ! কারণ, নিষিক্ত না হওয়ার দরুন ডিমের মধ্যে প্রাণ থাকে না। তাই যুক্তিগত ভাবে তাকে কখনোই পশু বা পাখির পর্যায়ে ফেলা যায়না। তাই সব বিতর্কের অবসান! এবার থেকে নিরামিষের দিনগুলিতেও ডিম খান নিশ্চিন্তে।