Lord Krishna: দু’জনই বিষ্ণুর অবতার, তবুও কৃষ্ণের চেয়ে কম ক্ষমতাশালী রাম! জানেন কি কেন?

আগামীকাল জন্মাষ্টমী। পুরাণ মতে এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ। দেশের সর্বত্র পূজিত এই দেবতার জন্মদিন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। ছোটবেলা থেকে আমরা শ্রীকৃষ্ণের বহু গল্প শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু তাঁর জীবনকাহিনী যেন এক ধাঁধার মতো, শত চেষ্টা সত্ত্বেও কেউই আজ পর্যন্ত তাঁর সম্মন্ধে সবকিছু জেনে উঠতে পারে নি। যদিও ভারতের পুরাণ বিদ দেবদূত পটনায়ক তাঁর নতুন বই ‘শ্যাম’-এ শ্রীকৃষ্ণ সম্মন্ধে এমন কিছু অজানা কাহিনীর কথা উল্লেখ করেছেন যা শুনলে অবাক হবেন আপনিও। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন ভারতের সর্বত্র চর্চিত এই দেবতার জীবন সম্পর্কে।

খন্ড খন্ড কাহিনী

শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী আমরা সংস্কৃত থেকেই জেনেছি। প্রথমে মহাভারত, তারপর বিষ্ণু পুরাণ, শ্রীমদ ভগবত পুরাণ, এবং গীতগোবিন্দের মাধ্যমে আমরা খন্ড খন্ড রূপে তাঁর জীবনের কাহিনী পড়ে এসেছি। এইসব কাহিনীগুলি লেখার আগে তা মুখে মুখেই সম্প্রচারিত হত। তবে কত বছর পূর্ব থেকে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন গল্প লোক মুখে প্রচার হয়ে আসছে, তা কারও জানা নেই। যদিও এটা জানা রয়েছে যে মহাভারত ২০০০ বছর পূর্বে, বিষ্ণু পুরাণ ১৫০০ বছর পূর্বে, ভগবত পুরাণ ১০০০ বছর পূর্বে, এবং গীতগোবিন্দ ৮০০ বছর পূর্বে লেখা শেষ হয়েছিল।

রামের তুলনায় কৃষ্ণই ছিল বিষ্ণুর বড় অবতার

img 20220817 221351

আমরা সকলেই জানি বিষ্ণুর দশটি অবতার। এই দশটি অবতারের মধ্যে ভগবান রাম এবং কৃষ্ণ রয়েছেন। তবে দু’জনেই বিষ্ণুর অবতার হলেও একে অপরের তুলনায় অনেক আলাদা ছিলেন। কেননা রাম কখনই আন্দাজ করতে পারেননি যে তিনি বিষ্ণুর অবতার ছিলেন। সেখানে শ্রীকৃষ্ণ খুব ভাল করেই জানতেন যে তিনিই ছিলেন বিষ্ণু। রাম বিষ্ণুর সপ্তম অবতার ছিলেন। আর শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন অষ্টম অবতার। অনেকেই মনে করেন যে বিষ্ণুর সবকটি অবতারের থেকে শ্রীকৃষ্ণের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ছিল।

ভগবত গীতা এবং ভগবত পুরাণ

img 20220817 221206

অনেকের মতেই মহাভারত অশুভ, কারণ সেখানে ছিল যুদ্ধ, রক্তক্ষয়, পরিবারের ভাঙ্গন। আর কেবলমাত্র এই ধারণার জন্যই বহু মানুষ ভগবত পুরাণের কথাই বলতে বেশি পছন্দ করে, যেখানে গোকুলে শ্রীকৃষ্ণের বেড়ে ওঠার কাহিনী লিখিত রয়েছে। তবে মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় অর্জুনকে দেওয়া শ্রীকৃষ্ণের দর্শন সম্পর্কিত জ্ঞানের উপর লিখিত রয়েছে ভগবত গীতা। অনেকেরই ধারণা এই যে, ভগবত গীতা যদি না থাকলে শ্রীকৃষ্ণের শেষ জীবন সম্বন্ধে জানার জন্য কেউ আগ্রহী থাকত না।




Back to top button