আজব রহস্য! কোনো গুণ ছাড়াই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ৫ ব্যক্তি

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রোজই কত ভিডিও ভাইরাল হয় নেট মহলে। একেকটা কান্ড দেখে যেমন হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়, তেমনই একেক জনের প্রতিভা দেখে আবার তাজ্জব বনে যেতে হয়। ইন্টারনেটের সুবিধা এই যে কত অজানা ঘটনা নিমেষে চোখে পড়ে আমাদের। নইলে কত প্রতিভাই হয়ত চোখ এড়িয়ে যেত আমাদের।

তবে ইন্টারনেটের সুবিধা যেমন আছে অসুবিধাও আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক জিনিসও ভাইরাল হয় যার পিছনে না থাকে বিন্দুমাত্র পরিশ্রম না প্রতিভা। আজ রইল এমন ৫ জন ব্যক্তির পরিচয় যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি খ্যাতি পেয়েছেন কেবল তাদের অনিচ্ছাকৃত ভাইরাল সামগ্রীর কারণে।

১. সারিম আখতার- পাক ক্রিকেট ফ্যান (Sarim Akhtar – Pak Cricket Fan)

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে হতাশার এক্সপ্রেশন দিয়ে তিনি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মিম তৈরি হয়েছিল। এখনও মিম তৈরিতে সোশ্যাল সাইটে বিখ্যাত পাকিস্তানের সারিম আখতার। ইতিমধ্যেই তার ছবি স্থান পেয়েছে হংকং এর মিম মিউজিয়ামেও।

ভাইরাল,রানু মন্ডল,সারিম আখতার,viral,ranu modal,sarim akhtar,baba ka dhaba

২. দানানীর মোবিন – পাওরি হো রাহি হ্যায় (Dananeer Mobeen – Pawri Ho Rahi Hai)

বিগত কয়েকদিন ধরেই “Pawri ho rahi hai” মিম ইন্টারনেটে যথেষ্ট ভাইরাল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের ১৯ বছর বয়সি তরুণী দানানীর মোবিনের এই শর্ট ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই তরুণী নিজের গাড়ি এবং বন্ধুদের আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে এবং বলছে, “ইয়ে হামারি কার হে, ইয়ে হাম হে অওর ইয়ে হামারি পাওরি হো রহি হে।”

৩. রাণু মন্ডল (Ranu Mondal)

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গত বছর তুমুল ভাইরাল হয়েছিল রানু মন্ডলের গান। রানাঘাটের স্টেশন চত্ত্বরের এক ভিক্ষুক রাতারাতি হয়ে ওঠেন সেলিব্রিটি। কিন্তু আগে তার দিন চলত ভিক্ষা করেই, কখনো একবেলা খাওয়ার জুটতো, কখনও সেটাও জুটতো না। কিন্তু সেসবের ধার না ধেরে তিনি গানকেই করেছিলেন সম্বল। হঠাৎ তার ভাগ্য ফেরে। রানাঘাট স্টেশন থেকে সোজা তার গান পৌঁছে যায় পৃথিবীর আনাচে কানাচে। তার গলায় ‘পেয়ার কা নাগমা হ্যাঁ’র প্রেমে মজেছিলেন গোটা দেশ। তারপর তার গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন স্বয়ং হিমেশ রেশমিয়া। এরপর হিমেশ সেই প্রতিভাকে পৌঁছে দেন সারা বিশ্বের দরবারে। রানুর সঙ্গে ডুয়েটে তিনি গান ‘তেরি মেরি কাহানি’। আর তার সেই গান আগের বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছে সমস্ত পুজো মন্ডপে।

৪. কান্ত প্রসাদ – বাবা কা ধাবা

কান্ত প্রসাদ দিল্লির লাজপত নগরে খাবারের স্টলের মালিক ছিলেন। লকডাউনের সময়, একজন ফুড ব্লগার একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এবং লোকজনকে তাকে সাহায্য করতে এবং তার কাছ থেকে খাবার কিনতে বলেছিলেন। এরপর থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং প্রসাদ তার নিজের রেস্তোরাঁ, বাবা কা ধাবা স্থাপন করেন । অনলাইনেও অর্থ দান করে মানুষ তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিল সেই সময়।

৫. অনুশ্রুত – চুল কাটার ভিডিও ভাইরাল

ছোট্ট অনুশ্রুতের চুল কাটার সেই ভিডিও সকলেরই মনে আছে। অনুশ্রুতের ভাইরাল হ‌ওয়া সেই প্রথম ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল, সেলুনের কাকুকে সে কাটিংওয়ালা কাকু বলে সম্বোধন করছে। আর তার চুল কাটার জন্য কাটিংওয়ালা কাকুকে সে রীতিমত বকুনি দিচ্ছে। বলতে দেখা যায়, যেন তার চুল কাটা না হয়। আধো-আধো গলায় কান্না মিশ্রিত স্বরে হিন্দি বুলিতে সে কাটিংওয়ালা কাকুকে বলছে, “অনুশ্রুত কি বাল মাত কাটো।”




Back to top button