Kacha Badam Song: বাদামে ফাটলো মাথা, ভাইরাল কাঁচা বাদাম গানের জন্য আক্রান্ত এক যুবক

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা : সোশ্যাল মিডিয়ার(social media) এই যুগে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে সেটাই ইন্টারনেটের(internet) মাধ্যমে চটজলদি ভাইরাল হয়ে যায়। ক্ষণিকের মধ্যে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে যায় সেই সব ভিডিও বা ছবি। সেইরকমই কয়েকদিন আগে ভাইরাল হয়েছিলেন দুবরাজপুরের(Dubrajpur) বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর(Bhuban Badyakar)। বাদাম বিক্রি(Badam Seller) করার জন্যই তিনি বেঁধেছিলেন একটি গান। আর সেখান থেকেই ভাইরাল হয়েছেন তিনি। ভাইরাল হওয়ার পর বদলে গেছে বাদাম বিক্রেতার জীবন। তাকে নিয়েই গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে উথাল পাথাল।
সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের সাথে ভিডিও বানানোর সাথে সাথেই সম্প্রতি কলকাতা পুরো ভোটের প্রচারে বাদাম বিক্রেতা কে দেখা গেল কলকাতার(kolkata) রাস্তায়। এদিন তারই সৃষ্ট ওই ‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে রাস্তায় প্রচার করতে দেখা গেল মদন মিত্র(Madan Mitra) ও অমল চক্রবর্তীর(Amal Chakraborty) হয়ে। সারা বাংলা জুড়ে প্রায় সবারই মুখে মুখে ঘুরছে ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি। আর এই গান নিয়ে দিন রক্তারক্তি অবস্থা। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি তারপর শেষে সেটি পৌঁছালো হাতাহাতিতে। আর সেখানেই অভিযোগ ওঠে এক যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার।
ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়া থানার (liluah police station) অন্তর্গত চকপাড়া(chakpara) অঞ্চলে। সূত্র থেকে জানা গেছে, শনিবার দুপুরের সন্দীপ কুমার নামে একটি ছেলে বন্ধুদের সাথে রাস্তার পাশে বসেই গাইছিল ভাইরাল ‘কাচা বাদাম’ গানটি । সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল অতনু ঘোষ(Atunu Ghosh) (জিতু) নামের এক যুবক। তখনই ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। প্রথমে সেটি কথা কাটাকাটি থাকলেও পরে সেটি পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। আশেপাশে থাকা লোকজন এর থেকে জানা যায়, হাতাহাতির মধ্যে হঠাৎই অতনু নামের ওই যুবক ভাঙ্গা কাঁচের বোতল নিয়ে তাড়া করে সন্দীপকে। ভয় পেয়ে সন্দীপ(sandip) এর সাথে থাকা বন্ধুরা পালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু তখনই ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে অতনু ঘোষ এর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন………Madan Mitra-Didi No.1: দিদি নং ওয়ানে সস্ত্রীক হাজির মদন মিত্র , মঞ্চ ভাগ করলেন বাবুল সুপ্রিয়
ঘটনাটি ঘটার পরই সন্দ্বীপ নামে ওই আহত ব্যক্তিকে আশেপাশে থাকা স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যায় স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। হাতাহাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লিলুয়া থানার পুলিশ। সেখানেই হাতেনাতে ধরে ফেলে জিতু ওরফে অতনু ঘোষকে। যদিও স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিন এলাকায় বেড়েছে দুষ্কৃতীদের(terrorist) আনাগোনা। স্থানীয়দের দাবি এই ঘটনায় প্রথম নয় প্রায়ই এলাকায় চলে এমন ঝামেলা। আর এই ঘটনাতেই আতঙ্কে গোটা এলাকা। পরবর্তীকালে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে পুলিশের কাছে তারই দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।