রাজনীত হোক বা খেলা, সংবাদে রসবোধ খুঁজছে যুব পাঠকের দল, নয়া সমীক্ষায় উঠে আসছে চমকপ্রদ তথ্য
ডিজিটাল যুগ শুরু পর থেকেই পৃথিবীর অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো বদল এসেছে ডিজিটাল দুনিয়াতেও। বড়সড় বদল এসেছে খবরের আঙ্গিকেও। সংমাত্র, টিভির পাশাপাশি খুলে গিয়েছে নিউ মিডিয়ার দরজা। পা রেখেছে একাধিক অনলাইন পোর্টাল, অনলাইন ম্যাগাজিন অ্যাপের দল। আর এখানেই বগলে গিয়েছে খবর পড়ার ধরন থেকে খবর লেখার গতানুগতিক প্রথা। হার্ড নিউজের থেকে সফট নিউজে এসেছে নতুন জোয়ার। আর তার হাত ধরেই বদলে গিয়েছে নবীন প্রজন্মের খবর খবর পড়ার ধরণও।
রাজনৈতিক খবরই হোক বা সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, মোড়ক বদলে পাঠাকের সামনে পেশ করতে পারলেই সহজেই করা যাচ্ছে আকর্ষণ। যদি সেই খবরটাকে কিছুটা মজার ঢঙে পেশ করা যায়, তাহলেই কেল্লাফতে। সংবাদ বিশেষজ্ঞরা এই ধরণের সফট কপিই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে আজকের দিনে। এমনকী এইধরণের যুব সমাজ সেই খবরটা উৎসাহের সঙ্গে পড়ছে আবার অন্যদেরও সেটা পড়তে উৎসাহ দিচ্ছে। ফলে সহজেই বাড়ছে পাঠকের সংখ্যা।
এদিকে পাঠক মনোভাব ও খবর পড়ার ধরণ বুঝতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই উঠে এসেছে চমকপ্রদ ফলাফল। সদ্য প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে গণতন্ত্র থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, যুবসমাজকে রাজনীতি থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সবই যদি খানিক মজার ছলে পেশ করা যায় তাতে আগ্রহ খুঁজে পাচ্ছে যুব পাঠকের দল।
এদিকে মজার ঢঙে দেওয়া খবর একাধারে যেমন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, তেমনই মানুষের স্মৃতিতে সেই খবর গেঁথে যাচ্ছে সহজে। এমবকী এক পাঠক অন্য পাঠককে খবর পড়তে উৎসাহও জোগাচ্ছেন। সম্প্রতি ১৮–৩৪ বছর বয়সী পাঠকদের উপরে একটি সমীক্ষা চালায় ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে দেখা যাচ্ছে মজার ছলে দেওয়া খবর গুলি গতানুগতিক ভাবে দেওয়া খবরের থেকে বেশি পাঠক পড়ছেন, মনেও রাখছেন অনেক বেশি পাঠক।