বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগের মুকুটে নয়া পালক! এবার বিখ্যাত এই মিষ্টির ছবি ভারতীয় ডাকটিকিটে
আমাদের বাংলা ভারী বিচিত্র রাজ্য। এই রাজ্যের একেকটি জেলায় একেকটি জিনিসের জয় জয়াকার। কোথাও মাটির পুতুল তো কোথাও বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি, কোথাও বিখ্যাত মিষ্টি কোথাওবা চপ। এমনই বর্ধমানের নাম উঠলে প্রথমেই যা মাথায় আসে, তা হল মিহিদানা এবং সীতাভোগ। মিষ্টির শহর বর্ধমানের জনপ্রিয়তা কিন্তু এই দুই অমৃত স্বাদের মিষ্টান্নকে ঘিরেই। ২০১৭ সালে জিআই তকমা পায় বর্ধমানের সীতাভোগ এবং মিহিদানা।
এবার এই মিষ্টির মুকুটেই নতুন পালক। জাতীয় স্তরেও এই ছড়িয়ে পড়বে মিহিদানা, সীতাভোগের গুণমান। ভারতের ডাকবিভাগের স্ট্যাম্পে এবার দেখা যাবে সীতাভোগ এবং মিহিদানার ছবি। শুক্রবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়েছে বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগের ছবি দেওয়া এই ডাক টিকিটের।
ভারতের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বৈচিত্র্য এর আগেও স্থান পেয়েছে ডাক টিকিটে৷ ভারতীয় ডাকবিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজন করা এই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ রিজিয়নের পোস্ট মাস্টার জেনারেল শশী সালিনি কুজুর, বর্ধমান ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পোস্ট সৈয়দ ফরজ হায়দার নবি, বর্ধমান সীতাভোগ-মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রমোদ কুমার সিং প্রমুখ।
এই প্রসঙ্গে শশী সালিনি জানান, বর্ধমানের ঐতিহ্যমন্ডিত এই মিহিদানা এবং সীতাভোগ সারা পৃথিবীতেই প্রসিদ্ধ। কিন্তু অনেকেই এর স্বাদ জানলেও জানেন না কোথায় তৈরি হয় এমন সুস্বাদু মিষ্টান্ন। সীতাভোগ এবং মিহিদানাও বর্ধমানের ইতিহাসের গৌরবময় অংশ। সেই ইতিহাসকেই সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এই প্রয়াস। এর জেরে যে বর্ধমান তথা গোটা বাংলার মুখই উজ্জ্বল হবে তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ইতিহাস বলছে, ১৯০৫ সালে বর্ধমানে লর্ড কার্জনের আপ্যায়নের জন্য তৎকালীন বর্ধমানের রাজা মহতাব চন্দের আমলে ক্ষেত্রনাথ নাগ এই দুই বিশেষ মিষ্টি তৈরি করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে সীতাভোগ ও মিহিদানা জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্ধমানে তৈরি এই বিশেষ ধরনের মিষ্টির সরকারি স্বীকৃতির জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রস্তুতকারকরা।