Deganga Military Camp: এ যেন বাস্তবের ‘ভুল ভুলাইয়া’! রাত বাড়তেই বঙ্গের এই পরিত্যক্ত বাংলোয় বেজে ওঠে ঘুঙুরের শব্দ

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : গল্পে কিংবা সিনেমায় ভুতুড়ে বাংলো সম্পর্কে তো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা আমরা সকলেই দেখেছি। রাত নামতেই সেই বাংলো থেকে ভেসে আসত কারও কান্নার শব্দ, শোনা যেত বিভিন্ন অদ্ভুত সব শব্দ। যা শোনা মাত্রই মূহুর্তের মধ্যে গা শিউরে উঠত সকলের। তবে এবার আর গল্প কিংবা সিনেমায় নয়। সত্যিই নাকি রাত বাড়তেই নানা ধরনের অদ্ভুত আওয়াজ ভেসে আসত উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Parganas) অন্তর্গত দেগঙ্গার ( Deganga) ‘ভূত বাংলো’ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি রাত বাড়তেই নাকি এখান থেকে ভেসে আসে কারও কান্নার শব্দ। সূর্য ডুবলেই ভুতের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকেন এখানকার এলাকা বাসিন্দারা।
শোনা যায়, ১৯২০ সালে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ( Deganga) বিশ্বনাথপুরে তৈরি করা হয়েছিল একটি মিলিটারি ক্যাম্প ( Military Camp)। প্রায় ৬৫ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এই মিলিটারি ক্যাম্পে একসময় থাকত বহু জওয়ানরা। শোনা যায়, এই মিলিটারি ক্যাম্পেই বহু মৃত্যু হয়েছে জওয়ানের। এরপর ধীরে ধীরে সেই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে সকলে। পরবর্তীকালে এখানে প্রতিবন্ধীদেরও জন্য ক্যাম্প তৈরি করা হয় এখানে। কিন্তু সেই ক্যাম্পও উঠে যায় আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগেই। তখন থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে এই বাড়ি।

লোকমুখে শোনা যায়, এই পরিত্যক্ত বাড়িতেই ঘুরে বেড়ায় অশরীরী শক্তি। রাত নামতেই নাকি এখান থেকে ভেসে আসে ভয়ংকর কান্নার শব্দ। নিশুতি রাতে শুনতে পাওয়া যায়, কেউ যেন ঘুঙুর পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা বাংলো জুড়ে। শুনতে পাওয়া যায়, অমাবস্যার রাতে নাকি এই আওয়াজ আরও বেড়ে যায়। ভয়ে রাতে কেউই বাইরে বেড়াতে সাহস পায় না। রাত নামতেই ছেলে থেকে বুড়ো সকলেই ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকে।

তবে অনেকে মনে করেন, কিছু মানুষ অসাধু কাজ করার জন্য পরিকল্পনামাফিক এই ভুতের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেগঙ্গায়। সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও সেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন তাঁরা। কয়েকজনকে সেখান থেকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল নাকি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই পুরানো মিলিটারি ক্যাম্পের ( Military Camp) সংস্করণ করে তা সরকারি কাজে ব্যবহার করা হোক।