রেড মিটের মতো মাছেও ঘনাচ্ছে বিপদ, বড়সড় অশনি সংকেত শোনাচ্ছেন চিকিৎসক
কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। প্রচুর ভিটামিন রয়েছে মাছে, তাই ছোটদেরও বেশি বেশি করে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারেরা। তাছাড়া অনেক আমিষভোজীই মাংসের চেয়ে মাছ খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় আমাদের দেশে মাছের জোগানও প্রচুর। তাই আমাদের খাদ্যতালিকায় মাছের পদ থাকেই। বিশেষ করে রেড মিটে যাদের বারণ, তাদের ভরসা মাছে। কিন্তু এবার বুঝি তাদের কপাল পুড়তে বসেছে। সবার প্রিয় মাছেও নাকি রয়েছে দুশ্চিন্তার কারণ। অন্তত বেশ কিছু চিকিৎসক এই বিষয়ে একমত। চিকিৎসক ও গবেষকেদের একাংশ জানাচ্ছেন, রেডমিটের মতোই নাকি ক্ষতিকারক মাছও।
মাছ বিক্রেতা বলছেন মাছ খান, কিন্তু চিকিৎসক যদি বলেন, মাছে বিপদ তাহলে মানুষ খাবে কী? সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মেডিক্যাল জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সামুদ্রিক মাছ-সহ বিভিন্ন মিষ্টি জলের মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
মার্কিন গবেষক নরম্যান হর্ড জানান, অতিরিক্ত মাছ খেলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে উল্টে শরীর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, হতে পারে রোগের সংক্রমণ। নরম্যান আরও বলেন, অতিরিক্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে রোগ রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাল্টে যায়, যা জীবাণুর সঙ্গে শরীরের লড়াই করার ক্ষমতার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে পরিমিত পরিমাণে মাছ খাওয়ায় ভয়ের কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, কোনো ব্যক্তি দিনে ১৫০-২৫০ গ্রাম মাছ খেতেই পারেন। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মাছ খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর বিজ্ঞানীদের মতে, দিনে ৪ গ্রামের মতো ওমেগা- ৩ খেতে হবে। হার্ট ঠিক রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন বার ৩.৫ আউন্সের মতো তৈলাক্ত মাছ খেতে হবে। শরীর চর্চা করলে ক্যালোরির সমস্যা ততটা থাকে না। তবে শরীরচর্চা না করে বিশেষ করে যাঁরা বসে কাজ করেন, তাঁদের মাছ খেতে হবে বুঝেশুনে।