Bankura Haunted School: রাত নয় সকালেও যেন গা ছমছমে পরিবেশ! স্কুলের বাথরুমে কি তবে ‘তেনাদের’ বাস?

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : পুরানো বাড়ি কিংবা পরিত্যক্ত এলাকা এখন অতীত। বর্তমানে স্কুলের শৌচাগারে দেখা মিলছে ভুতের। কি শুনে একটু অবাক হলেন তো? তবে এটাই সত্যি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের স্কুলে ( Bankura Haunted School) শৌচাগার নিয়ে এমনই আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের দাবি শৌচাগারে নাকি গলায় দড়ি সমেত ঝুলতে দেখেছে কাউকে। কারও আবার দাবি পিছন থেকে নাকি কোনো অশরীরী শক্তি জড়িয়ে ধরছে তাঁদের। এমনই সব অদ্ভুত ঘটনার শিকার হচ্ছে বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর স্কুলের ছাত্রীরা। ছাত্রীদের শৌচাগারেই দেখা মিলেছে তেনাদের। জানা যায়, শৌচাগারে ভুতেদের দেখে অসুস্থ হয়ে যায় বহু ছাত্রী।
জানা গিয়েছে, দুদিনে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে ঠিক একই কারণে। আর সেই কারণেই স্কুলে গেলেও শৌচাগার ব্যবহারে ভয় পাচ্ছে সেখানকার ছাত্রীরা। শৌচাগার থেকে বেড়িয়ে আসতেই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে ছাত্রীরা। আতঙ্কে গলা দিয়ে স্বর বেড়াচ্ছে না তাঁদের। এর নেপথ্যে আসল কারণ তবে কী? সত্যিই কী কোনো অপ্রাকৃতিক শক্তির দর্শনে এমন অবস্থা হয়েছে ছাত্রীদের। নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে রয়েছে কোনো বুজরুকি?

গ্ৰাম বাংলায় এই ধরনের কুসংস্কার নতুন কিছু নয়। কয়েকবছর আগে বাঁকুড়া ( Bankura) জেলারই অন্য আরও একটি স্কুলেও ঘটে একই ঘটনা। জানা গিয়েছে, কোতুলপুর স্কুলের এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তাঁর পরিবার নিয়ে যায় এক ওঝার কাছে। সেই ওঝাই বলেন, আত্মহত্যা করা এক ছাত্রীর অশরীরী আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে এই শৌচাগারে। আর এরপর থেকেই ছাত্রীদের মনে আতঙ্ক বাসা বাঁধে এই স্কুলের শৌচাগার সম্পর্কে। স্কুলের শৌচাগারে কোনো অস্বাভাবিক কিছু আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে স্কুলে যায় মেডিকেল টিম। যদিও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করেন তাঁরা। স্কুল ( Bankura School) কর্তৃপক্ষদেরও দাবি কেউ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এমন ধরনের গুজব রটাচ্ছেন। বাইরের কোনো দুষ্কৃতীদল আছে কিনা এর নেপথ্যে তা জানার জন্য শুরু হয়েছিল পুলিশি তদন্ত। ছাত্রীদের কাউন্সিলিং করলে এই সমস্যার সমাধান মিলবে বলে জানান যুক্তিবাদীরা।