Hastings House: রাত বাড়তেই হেস্টিং হাউসে ‘দুম-দুম’ পায়ের শব্দ, এবার কি অশরীরি রূপে ফিরে এলেন হেস্টিং সাহেব?

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে যেসব ভুতুড়ে স্থান রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে ভয়ানক স্থান কোনটি সেটা জিজ্ঞাসা করলে হয়তো আপনার মাথায় আসবে বহু নাম। তবে আজ আমরা যে ভৌতিক স্থান সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি তা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা ভারতবর্ষের সবথেকে ভয়ানক স্থানগুলির মধ্যে একটি। তিলোত্তমা কলকাতায় অবস্থিত হেস্টিংস হাউসের ( Hastings House) নাম তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন আজও এই স্থানে রাত নামতেই আনাগোনা হয় অশরীরীদের? আলিপুরের হেস্টিংস হাউসের কথা কম বেশি সকলেই জানে।
ভারতের প্রথম গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস ( Warren Hastings) তৈরি করেছিলেন এই বাড়িটি। যেই কারণে এই বাড়ি হেস্টিংস হাউস ( Hastings House) নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন্স কলেজ। এই স্থানে রাত বাড়তেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা স্বচক্ষে দেখলে গা শিউরে উঠবে আপনারও। রাত নামতেই ঘোড়ার গাড়ি ছুটিয়ে আসতে দেখা যায় কোনো এক ইংরেজকে। এমনকি অনেক সময় কিছু অদ্ভুত শব্দও শোনা যায় এখান থেকে। অনেকে বলেন এই রহস্যময় ইংরেজ আসলে হেস্টিংস নিজেই। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? যে মানুষ মারা গিয়েছেন বহু যুগ আগে সেই মানুষ পুনরায় ফিরে আসতে পারে কীভাবে? তবে কী সত্যি ওয়ারেন হেস্টিংসের অতৃপ্ত আত্মাই নেমে আসে রাতের অন্ধকার গায়ে মেখে?

আবার এই স্থানের মাঠে নাকি ফুটবল খেলার সময় একটি ছেলের বুকে ফুটবল লাগে। তা দেখে ছেলেটির বাকি সঙ্গীরা ভয়ে পালিয়ে আসায় আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি ছেলেটিকে। এছাড়াও এখানে নাকি পাওয়া গিয়েছে অপঘাতে মৃত্যুর কিছু লাশ। সব মিলিয়ে এক অন্য রকম ভৌতিক ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় এখানে। কখনও শোনা যায়, ফাইল নাড়াচাড়ার শব্দ তো কখনও চোখের পলকেই উধাও হয়ে যাচ্ছে ছায়ামূর্তি। এমন বহু অপ্রাকৃতিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আজও তিলোত্তমার বুকে দাঁড়িয়ে আছে এই হেস্টিংস হাউস ( Hastings House)। আর তাই রাত বাড়লে এই স্থানে যাওয়াটা আপনার পক্ষে নিরাপদ নাও হতে পারে।