সাধ্যের মধ্যে স্বাদ ! ১৫০০ হাজার থেকে ইলিশের দাম কমে হল মাত্র ৩৫০, জেনে নিন আসল রহস্য
অগস্টের শুরুতে ইলিশের দাম হঠাৎই বেড়ে দাঁড়ায় কেজি প্রতি দেড় হাজার টাকারও বেশি। স্বভাবতই নাভিশ্বাস উঠতে থাকে ক্রেতাদের। ইলিশপ্রেমীরাও রণে ভঙ্গ দিতে শুরু করেন। সকলের জন্য সুখবর, সেই মহার্ঘ ইলিশের দাম আচমকা নেমে এল মাত্র সাড়ে তিনশো টাকায়!
সপ্তাহের প্রথমার্ধে যে মূল্য ছিল, তার অর্ধেকেরও অর্ধেকে নেমে এসেছে দাম। ফলত দেদার বিক্রি হচ্ছে ইলিশ, জানান মাছ বিক্রেতারা। স্বভাবতই ইলিশপ্রেমী থেকে বিক্রেতা, চওড়া হাসি সকলেরই মুখে।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বরগুণায় রীতিমত মাইকিং করে শুরু হয়েছে ইলিশ বিক্রি! এহেন অভিনব পদ্ধতিতে রুপোলি শস্য দেদার বিকোনোর খবরে স্তম্ভিত সকলেই। শুধু ইলিশের লোভে বাংলাদেশের নানা প্রান্তের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বরগুণায়। জানা যাচ্ছে, দাম আশাতীত কম হওয়ায় দু-চার কেজির কমে নাকি কেউ ইলিশ কিনছেনই না!
ইলিশ প্রেম রয়েছে বাঙালিদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। স্বভাবতই সীমানা পেরিয়ে ইলিশ বিক্রির এহেন খবর এসে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গেও। সূত্রের খবর, শুধু ইলিশ কেনার জন্যই নাকি বহু ভারতীয়কে বরগুণায় দেখা গিয়েছে। যদিও এত কম দামে বিক্রিতে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে ব্যবসায়ীমহলের অভ্যন্তরে। সকলেই তো এত কম দামে এইভাবে ইলিশ বিক্রি করতে পারছেন না, তার উপর দামও চড়া। ফলে মারাত্মক মন্দার মুখ দেখছেন ইলিশ ব্যবসায়ীদের একাংশ।
যেখানে ইলিশের দাম এত বেশি, সেখানে এত সস্তায় কিভাবে সম্ভব বিক্রি? ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতা, সকলের মনেই উঠেছে এই প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের কুয়াকাটা অঞ্চল থেকে আগাম অধিক পরিমাণে ইলিশ এনেছেন বহু ব্যবসায়ী, আর তাই এই মরশুমে এত কম দামে বিক্রি করতে পারছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীরা সাফ জানিয়েছেন, “পাথরঘাটা মৎস্যকেন্দ্রে ইলিশের দাম খুব বেশি। তাই কুয়াকাটায় কম দামে ইলিশ কিনে বরগুণার বিভিন্ন ছোট অঞ্চলে মাইকিং করে বিক্রি করছি আমরা।” যদিও এতে লাভের খতিয়ান সম্পর্কে বিশেষ মুখ খোলেননি ব্যবসায়ীরা।
ইলিশ বিক্রেতারা জানান, “মাইকিং করে বিক্রি করলে এমনিই মানুষ এগিয়ে আসে। আর এইভাবে ইলিশ বিক্রি করলে তো কথাই নেই। কুয়াকাটার বাজারে ইলিশের দাম এমনিই কম। তাই কেনা দামও বেশ কমই পড়ে।” ফলত কুয়াকাটা থেকে কম মূল্যে মাছ কিনে বরগুণায় বিক্রির এই কৌশল যে পথ দেখিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের, তা বলাই বাহুল্য।
৩৫০ টাকায় ৮০০ গ্রাম থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের ইলিশ বাজারের ব্যাগে ঢোকাতে পেরে রীতিমত খুশি ক্রেতারা। যদিও বেশ কিছু ক্রেতার মতে, আগে থেকে হিমঘরে মজুত ছিল এই ইলিশগুলি, আর তাই এত কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে সেভাবে খোলসা করে কিছুই বলতে চাননি বিক্রেতারা।