Lijjat Panpar- পাঁপড় বেচেই ৮০ থেকে ৮০০ কোটির সম্পত্তির মালিক, পদ্মশ্রীও পেয়েছেন এই মহিলা

নেহা চক্রবর্তী,কলকাতা– আমাদের দেশে এমন বহু মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়তই পরিশ্রম করে চলেছেন ভালোভাবে জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে। খুব কম অর্থ ব্যয় করে ব্যবসা শুরু করে নিজের বুদ্ধি ও কায়িক শ্রমে সেই ব্যবসাতে উন্নতি করার জন্য চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত অনেকেই। তাই তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে এই আটজন মহিলার উদহারণ দিলে আশা করি ভুল কিছু হবেনা সবার চোখে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই মহিলাদের কথা যাদের তৈরী পাঁপড় আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে।

তবে উন্নতির শুরুর পথ সবসময় দুর্গম হয়। ১৯৫৯ সালের ১৫ই মার্চ লিজ্জত পাঁপড়ের যাত্রার শুরু। গুজরাটের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে মহিলারা একটি ব্যবসা করবেন সেটা ভাবাও হয়তো অসম্ভব ছিলো। খ্যাতি তো দূরের কথা। তবে অসম্ভব কে সম্ভব করে দেখালেন যশন্তীবেন, পার্বতীবেন, উজমাবেন সহ আটজন মহিলা। প্রত্যেকেই গরীব,সংসারে হাত টান অবস্থা। তখন তারা ঠিক করেছিল সংসার সহজ ভাবে চালানোর জন্য কিছু বাড়তি পয়সার প্রয়োজন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। একসাথে শুরু করলেন পাঁপড় বিক্রি।

যশন্তীবেন কে,পদ্মশ্রী কে কে পেয়েছেন,গুজরাটের কোথায় থাকেন যশন্তীবেন,ভারতের রাষ্ট্রপতি কাদের পদ্মশ্রী দিয়েছেন,Who Yashantiben,who got PadmaShri,where does Jashantiben live in Gujarat,President of India gave PadmaShri to whom

মাত্র ৮০টাকা ধার করে ব্যবসা শুরু করলেন সবাই। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তখন প্রত্যেকে দিনে ৪ প্যাকেট করে পাঁপড় তৈরি করতেন। বিশ্রামের নাম ও নিতেন না একটুও। সংসার চালানো আর ব্যবসাকে দাড় করানো দুটোই হয়ে উঠেছিলো সেই আট জন মহিলার মূল লক্ষ্য। ব্যবসার প্রথমে বাজার গবেষণা, ব্যবসা বৃদ্ধি, বার্ষিক টার্নওভার সম্মন্ধে কোনপ্রকার ধারণাই ছিলোনা কারোর। সময় গড়িয়ে চলার সাথে সাথে ব্যবসার চাকাও আরও দ্বিগুণ গতিতে চলতে শুরু করলো। সবাই ওয়াকিবহল হলো ব্যবসা সম্মন্ধে। আরও সুসংগঠিত ভাবে চললো পাঁপড় তৈরি ও বিক্রি ।

আরও পড়ুন…..কমলালেবু বিক্রেতা থেকে পদ্মশ্রী! ‘অক্ষর সন্ত’ হাজাব্বা জ্বালাচ্ছেন শিক্ষার আলো

১৯৫৯সাল থেকে এখন অবধি ‘লিজ্জত’ পাঁপড়ের লড়াই কিন্তু থামেনি। এত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ বর্তমানে এই সংস্থার বার্ষিক আয় প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা। ৮০টাকা থেকে শুরু হওয়া এক ব্যবসা এখন কোটির ঘরে। সম্ভব সবই, পাঁপড় এর নাম ‘লিজ্জত’ কেনো সেই প্রশ্ন করায় তার উত্তরে যশন্তীবেন বলেছিলেন,গুজরাতি ভাষায় এর অর্থ হল সুস্বাদু। তাই এই নামকরণ। এত ভালো উদ্যোগ ও অনুপ্রেরনার জন্য ২০২১ এ রাষ্ট্রপতি তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করেছেন। বর্তমানে লিজ্জত পাঁপড়ের সংস্থায় কাজ করছেন হাজারও মহিলা। ভবিষ্যতে সংস্থাটি আরও এগিয়ে যাবে আশা করা যায়।




Back to top button