Britain Couple:ভালোবাসার জোয়ারে হার মানল বয়সের বেড়াজাল, ছত্রিশের যুবককে বিয়ে ৮১-র বৃদ্ধার

‘ভালোবাসার’ কোনো বয়স থাকেনা। এই কথাটা প্রায়শই শোনা যায়। যদি সত্যিই ভালোবাসা হয় তাহলে তা বয়সের তোয়াক্কা করেনা। সম্প্রতি খবরের শিরোনামে থাকা এক ব্রিটেন দম্পতি এর উদাহরণ হিসাবে উঠে আসছে সকলের কাছেই। তাদের কথা শুনে অনেকেই চমকে উঠেছেন, অনেকে আবার ভালোবাসার বিষয়ে থাকা এত অজানা তথ্য পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ চ্যানেল ‘আইটিভির’ স্টুডিওতে বিয়ের পর একসঙ্গে আসা এই দম্পতি চ্যানেলটির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দিস মর্নিং’-এ বয়সের ব্যবধান, পুনর্মিলন এবং যৌন জীবন নিয়ে সমালোচনা নিয়ে অনেক মজার তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।
দম্পতির মধ্যে স্বামীর নাম মহম্মদ ইব্রাহিম ও স্ত্রীর নাম আইরিস। প্রায়শই তাদের ভালোবাসার কথা উঠে আসছিলো। কিন্তু কি এমন জনপ্রিয় ছিল তাদের প্রেমে যার ফলাফলে তারা এখন খবরের শিরোনামে!

ব্রিটেনের খবর,ব্রিটেন দম্পতির খবর,ব্রিটেন দম্পতির ভালোবাসা,ব্রিটেন দম্পতি শিরোনামে,আইটিভি শো তে ব্রিটেন দম্পতি,ইজিপ্টের খবর,যুক্তরাষ্ট্রের খবর

আরও পরুন-Sara Ali Khan- গাড়ি থামিয়ে ভক্তের ডাকা সাড়া, তাঁর ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ নেট জনতা

উল্লেখ্য এই ব্রিটিশ দম্পতির মধ্যে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বয়স ৩৬বছর এবং ৮১ বছর বয়সী পেনশনার আইরিস জোনস। অর্থাৎ তাদের মধ্যে প্রায় ৪৫বছরের ব্যবধান। একজন থাকেন ইজিপ্টে ও একজন যুক্তরাষ্ট্র- তে। সেই বয়স এবং একে অপরের দেশের দূরত্বকে তারা ভালোবাসার সামনে মাথা নত করিয়ে সম্প্রতি গাঁটছড়া বেঁধেছেন। ‘দিস মর্নিং’ অনুষ্ঠানে আইরিস জানিয়েছেন লকডাউন এবং ভিসা না পাওয়ায় তিনি বড় সমস্যায় পড়েছিলেন। যখন লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তখন ফোনে কথা বলা এবং মেসেজ করা ছাড়া তার আর কোন রকম উপায় ছিল না। সাক্ষাৎ-র পথ টাও বন্ধ ছিলো। মেসেজে প্রতিদিন গুড মর্নিং-গুড নাইট বলাটা বেশ বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল দুজনের কাছেই। আইরিস জানান, তিনি যখন শোনেন যে তার স্বামী যুক্তরাজ্যে আসার জন্য ভিসা পেয়েছেন, তখন তার চোখ থেকে জল ঝরতে থাকে। তিনি বলেন, ‘আমি টেসকোতে বাড়ির জন্য ফল ও সবজি কিনছিলাম। তখনই বিষয়টি জানতে পারি। আমার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না।

“মোহাম্মদ সিরিজ ও জানান তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য ও আইরিসের সাথে দেখা করার জন্য কতটা খুশি। সে জানায় এমনকি খবরটি পাওয়ার পর একটা রাস্তায় দাড়িয়ে খুশির জোরে চিৎকার করতে থাকে সে।
মোহাম্মদ যুক্তরাজ্যে নামার সাথে সাথে বিমানবন্দরে দুজনের দেখা হয়। মোহাম্মদ তার বক্তব্যে জানান বয়সের এত ব্যবধান অনুযায়ী একটি ভালোবাসা সম্পর্কে জড়ানোর পরে মানুষের প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার মুখে তাকে পড়তে হয় অনেক। উদাহরণস্বরূপ, কিছু লোক আইরিসের সাথে তাঁর সম্পর্ককে কোনো এক বিশেষ উদ্দেশ্য বলে দায়ী করেছে। মোহাম্মদ বলেন,”আমার ব্যবসায় প্রশাসন আছে। আমি আইরিসের সাথে আছি তার কোনো কারণ নেই যে আমি আইরিসের কাছে কিছু চাই। আমি একজন ধনী ব্যক্তি। কায়রোতে আমার নিজের বাংলোও আছে।” কিন্তু তারা দুজনে এই সম্পর্কে খুশি আছেন,ভালো আছেন এটাই টিভি শোয়ের সবশেষে জানান ব্রিটিশ দম্পতি। যা উপহাসকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া জবাব হয়ে দাঁড়ায়।




Back to top button