নৃশংসতার চরম সীমা ! শতাধিক কুকুরকে জীবন্ত কবর দিল দুষ্কৃতীরা
১০০ টিরও বেশি কুকুরকে বিষ খাইয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হল। মঙ্গলবার কর্নাটকের শিবমোগা থেকে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার খবর এসেছে। কুকুরগুলোকে শিবমোগা জেলার ভদ্রাবতী তালুকের একটি গ্রামে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রাবতী তালুকের কামবাদালু – হোসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। গ্রামবাসীরা খবর দেওয়ায় শিবমোগা এনিমেল রেস্কিউ ক্লাবের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পশুচিকিৎসক ও পুলিশের সহায়তায় পোস্টমর্টেম এর জন্য মৃতদেহগুলিকে বাইরে বার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দেশেই কুকুরগুলিকে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। পুলিশ পঞ্চায়েত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও, গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক বি মঞ্জুনাথ জানান, পঞ্চায়েত কুকুর ধরা বা মারার কোন নির্দেশ দেয়নি। কারা এই কাজটি করেছে আমরা জানিনা। আরও তদন্তের জন্য আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করছি।
পশু চিকিৎসক ও পশুপালন বিভাগের অফিসার কে বাসবরাজ বলেন, বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখনো পর্যন্ত মৃত কুকুরের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে আমরা মৃত্যুর কারণ জানার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি।
অ্যানিমেল রেস্কিউ ক্লাবের কর্মীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কুকুরগুলি কে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছে। শিবমোগার এসপি লক্ষীপ্রসাদ জানান, গ্রাম পঞ্চায়েতে আধিকারিকরা কুকুরদের বিষ খাইয়ে তাদের কবর দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পশু চিকিৎসকদের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে। তার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করব। তিনি বলেন, নিহত এবং কবর দেওয়া কুকুরের সংখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো জানা যায়নি।
সম্প্রতি কর্নাটকের হাসান জেলার একটি গ্রামে ৩৮ টি বানরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।