খাঁচায় বন্দী করার অপরাধে ২২ কিমি পথ পেরিয়ে শুত্রুর উপত প্রতিশোধ নিতে এলো কর্ণাটকের বানর!
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, “দুর্বল মানুষ প্রতিশোধ নেয়, শক্তিশালী মানুষ ক্ষমা করে এবং বুদ্ধিমানরা উপেক্ষা করে।” কিন্তু একটি বানর যদি প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে ২২ কিমি পথ অতিক্রম করে এসে তাঁর শত্রুর সামনে এসে দাঁড়ায় শাস্তি দিতে তবে কি আর তাকে দুর্বল বলা যায়?
পূরাণ মতে হনুমান চিরকালই শক্তিশালী, এবং প্রভুভক্ত। তারা প্রভুর জন্য যেমন গন্ধমাদন পর্বত তুলে আনতে পারে তেমনই শত্রুপুরীতে লঙ্কাকান্ডও ঘটিয়ে দিতে পারে। সেবার ১০০ কিমি জঙ্গল পেরিয়ে লঙ্কায় হানা দিয়েছিল হনুমান, আর এবার প্রতিশোধ নিতে ২২ কিমি পথ পেরিয়ে শত্রুর খোঁজে এল এক বানর।
কর্ণাটকের চিকমাগলুর জেলার কোথিগিহার গ্রামের এই ঘটনায় কার্যত হতবাক গ্রামবাসীরা৷ ৮ দিন আগে ওই বানরকে খাঁচায় বন্দী করতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ কোথিগিহার গ্রামের আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো এই বানরটি এলাকায় খুবই অনিষ্ট করত। এমনকি এলাকার স্কুলগুলিতেও বাচ্চারা তার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত।
অবশেষে উপায় না পেয়ে স্কুল কতৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে বনদপ্তরে জানিয়ে বানরটিকে আটক করার ব্যবস্থা কএরা হয়। দুর্বৃত্ত বানরকে আটকাতে ফাঁদও পাতে তারা। এই কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। তাই বনকর্মীরা জগদীশ নামক এক অটোচালকের সাহায্য নিয়েছিল বানরটিকে ধরতে৷ এই প্রক্রিয়া চলাকালীনই বানরটি জগদীশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে কামড় দেয়৷ সেদিন বেশ খারাপ ভাবেই আহত হয় জগদীশ।
এরপর বানর টিকে আটক করে প্রায় ২২ কিমি দূরে একটি জঙ্গলে ছেড়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার আট দিন পর বানরটি ফের জগদীশের গ্রামে পৌঁছায়। বানরটিকে দেখতে পেয়ে ফের বনদপ্তরে খবর দেয় গ্রামবাসীরা। যদিও এবারে জগদীশের কেশ-ও স্পর্শ করতে পারেনি বানর বাবাজী।