National Cotton Candy Day: আজও অমলিন হাওয়াই মিঠাইয়ের স্বাদ, কটন ক্যান্ডি দিবসে ফিরে দেখা ছেলেবেলার স্মৃতি

চৌদ্দ দশকের গোড়ার দিক থেকেই তুলো লজেন্স আট থেকে আশি সকলেরই খুব পছন্দের একটি ক্যান্ডি। আজও রাস্তার কোনো আনাচে-কানাচে কম-বেশি সকলেরই ছোটবেলার স্কুল জীবনের স্মৃতি রোমন্থন হয় এই তুলো লজেন্স দেখতে পেলে। এই তুলো ক্যান্ডিকে বলা হয় ‘স্পান সুগার’ (Spun Sugar)। বিভিন্ন মেলা, কার্নিভাল, চিড়িয়াখানা, সার্কাসে আমরা আজও এই তুলা ক্যান্ডি দেখতে পাই।
উত্তপ্ত সূক্ষ্ম চিনির গোলাকে পাতলা স্ট্র্যান্ডে পরিণত করে কাগজের লাঠিতে ঘুরিয়ে চর্বিযুক্ত পাফগুলিতে এটিকে প্রস্ফুটিত করা হয়, ফলে এটি কিছুটা জাদুর মতো দেখতে লাগে, যা আমাদের ছোটবেলার ‘ফেয়ারী ফ্লস’ (Fairy Flaws)-এর কথা মনে করিয়ে দেয়। অত্যন্ত মিষ্টি এই তুলো ক্যান্ডি দাতব্য চিকিৎসকদের অত্যন্ত অপছন্দের হলেও, অদ্ভুতভাবে এর সূত্রপাত হয়েছিল একজন দাতব্য চিকিৎসকের (Dentist) হাত ধরেই।
আঠেরো শতকের প্রথমদিকে এই কটন ক্যান্ডি (Cotton Candy) ইউরোপে তৈরী করা হত। যদিওবা সেই সময়ে, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং শ্রম-নিবিড় ছিল। সাধারণ মানুষের পক্ষে এই তুলো মিছরি কেনার সামর্থ্য ছিল না। এরপর ১৮৯৭ সালে, ডেন্টিস্ট উইলিয়াম মরিসন (William Morisson) এবং মিষ্টান্নবিদ জন সি. হোয়ার্টন (Jon C. Whatron) মেশিনের সাহায্যে কটন ক্যান্ডি আবিষ্কার করেছিলেন। তাদের তৈরী এই ক্যান্ডি ‘ফেয়ারি ফ্লস’ হিসাবে ১৯০৪ সালে বিশ্ব মেলায় এই তুলো ক্যান্ডিকে ব্যাপক দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করেছিল। ইউরোপীয়রা এটিকে এত বেশী পছন্দ করেছিল যে একটি বাক্স ২৫ ডলার হিসাবেও ৬৮০০০ টি বাক্স বিক্রি হয়েছিল।
প্রতি বছরের ৭ ই ডিসেম্বর এই জাতীয় কটন ক্যান্ডি দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এই কটন ক্যান্ডি ডে উদযাপনের জন্য আপনার পছন্দের লোকেদের সঙ্গে এই ক্যান্ডি ভাগ করে নিন এবং সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ দিয়ে ন্যাশনাল কটন ক্যান্ডি ডে (National Cotton Candy Day) লিখে পোস্ট করতে পারেন।ক্যান্ডি ফ্লস মৃলত পাতলা ও নরম হয়ে থাকে। তবে পাতলা হলেই যে তা দীর্ঘ হবে না, এমনটা নয়। পৃথিবীর দীর্ঘতম তুলো ক্যান্ডিটি তৈরী করা হয়েছিল ১৪০০ মিটারেরও বেশি প্রসারিত। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে আমেরিকাতে এই কটন ক্যান্ডিটি তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- নেট পাড়ায় চলছে দেদার ব্যবসা, কিন্তু ভাইরাল গানেও কেন অভাব ঘুঁচছে না বাদাম কাকুর