করোনা যুদ্ধে নয়া মারণাস্ত্র! এই গাছের পাতা থেকেই তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী ভেষজ স্যানিটাইজার
প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত তথা গোটা বিশ্বেই জাঁকিয়ে বসেছে মারণ করোনা। দাপট বাড়াচ্ছে নিত্যনতুন স্ট্রেন। এদিকে দ্বিতীয় ঢেউ থিতু হতে না হতেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এদিকে করোনাকালে আম-আদমির নিত্য সঙ্গী যে মাস্ক-স্যানিটাইজার, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভিন্ন ধরণের মাস্কের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির সুগন্ধী স্যানিটাইজার। এবার গাছের পাতা থেকেই স্যানিটাইজার তৈরি করে সাড়া ফেললেন উত্তরবঙ্গে একটি গ্রামের বাসিন্দারা।
এদিকে প্রথাগত ভাবে অ্যালকোহল থেকেই তৈরি হয় স্যানিটাইজার। কিন্তু এবার সেই রীতিতেই বদল এনে সাড়া ফেলে দিয়েছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ছোট্ট একটি গ্রাম। কালিম্পং জেলার ঝান্ডি গ্রামের বাসিন্দারা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছেন এক ভেষজ ‘স্যানিটাইজার’-কে। আর তাতেই হতবাক বিশেষজ্ঞরা। শুনতে খানিক অবাক লাগলেও উত্তরবঙ্গে মানুষের এই আবিষ্কার নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে।
এদিকে করোনাকালের বহু আগে থেকেই উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে ব্যবহৃত হয়ে আসছে টিতেপাতি গাছ থেকে উৎপাদিত স্যানিটাইজার। এই গাছের পাতার এই আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে এটা শুধু যে জনশ্রুতি এমনটা নয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, আর্টেমিসিয়া(চলতি ভাষায় টিতেপাতি) নামের এই গাছের পাতায় উপস্থিত রয়েছে বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান এবং ভেষজ তেল। যার ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে মশা-মাছি, এমনকি বিষাক্ত নানা পোকামাকড়ও সাধারণত কাছে ঘেঁষে না। এমনকী যে কোনও বিষক্রিয়াতেও এই গাছের পাতা ভালো উপকারে আসে।
অন্যদিকে করোনা যুদ্ধে এখন সকলেরই নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে স্যানিটাইজার। সুস্থ থাকার চেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হাত পরিচ্ছন্ন রাখার চিন্তা। সেখানে রাসায়নিক স্যানিটাইজারের অত্যাধিক ব্যবহার আবার ডেকে আনতে পারে একাধিক বিপদ। এমতাবস্থায় টিতেপাতি গাছের পাতা থেকে তৈরি ভেষজ স্যানিটাইজার আম-আদমির জন্য নতুন দিগন্ত খুলতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও ই কাজ বাস্তবিক ভাবে অপ্রতুল হওয়াতেই বাড়ছে চিন্তা।