৯৮ তেও নট আউট! করোনা জয় করে দিব্যি রয়েছেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী
সুস্বাস্থ্য ও পরমায়ু কে না চায়। আমরা সকলেই সুস্থ্য সবল ভাবে বহুদিন এই মায়াভরা পৃথিবী দেখে যেতে চাই। কিন্তু আজকাল অনেকেরই সামান্য বয়স বাড়তেই নানা শারীরিক জটিলতা ও রোগ দেখা দেয়। কিন্তু গুজরাটের আহমেদাবাদের এক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশীদার তার অসীম স্বাস্থ্য আর মনের জোর দিয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন সবাইকে। ৯৮ বছরের বৃদ্ধ বয়সে তিনি যে শুধু করোনা জয় করেছেন তাই নয় এখনো তার থেকে বয়সে ছোট অনেকের থেকেই বেশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
আহমেদাবাদের নবরংপুরার বাসিন্দা ঈশ্বরীলাল দেব ৯৮ বছর বয়সে মাত্র ১২ দিনের মাথায় করোনার মতো রোগকে হারিয়ে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য। তিনি যে শুধু করোনা জয় করেছেন তাই নয়, হারিয়েছেন চিকুনগুনিয়ার মতো রোগকেও। উপরন্তু যুবক বয়সের সবাইকে লজ্জায় ফেলে প্রতিদিন সকালে ৫ টায় উঠে যোগ ব্যায়াম অভ্যাস করে হাঁটতে বেরোন তিনি। তাঁর কথায় দীর্ঘদিনের যোগাভ্যাসই এই সুস্থতার চাবিকাঠি। তাঁর ৯৪ বয়সী স্ত্রীও তাঁর মতোই সুস্থ্য। তিনি বলেন, “সামঞ্জস্যপূর্ন খাবার ও ভাবনার মাধ্যমেই সুস্থ্য থাকা সম্ভব। জীবনে চরাই উৎরাই আসবেই কিন্তু কখনো হার না মানা মনোভাবই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।” দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর ছেলেমেয়েরা সবাই বাইরে থাকলেও অনেকটা সময় তাদের বাবা মার সাথে দেশেই কাটান।
সক্রিয় ভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শরিক ছিলেন এই বৃদ্ধ। তিনি বলেন ব্রিটিশ বিরোধিতার কারণে দীর্ঘকালীন জেলে ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি দরিয়াপুরে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল, জনসভা ইত্যাদির আয়োজন করতেন। বিলি করতেন ব্রিটিশ বিরোধী প্যামফ্লেট। ওখানকার একজন সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। একবার চমনপুরায় পুলিশ তাদের আক্রমন করে এবং তিনি ধরা পড়েন। এর পর ছ মাস তাকে জেলে কাটাতে হয়। ২০০ টাকা ফাইন দিতে অস্বীকার করায় আরো দু মাস তাকে জেলেই থাকতে হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আবার স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজের জীবন নানা সামাজিক কাজে নিয়োজিত করেন এই মানুষটি।