Roundup 2021: তুষারাবৃত নববর্ষ উৎযাপন করার পরিকল্পনা করছেন, জেনে নিন এই আদর্শ পর্যটন কেন্দ্রগুলির নাম

শীতকাল মানেই ঘুরতে যাওয়ার সময়। কারোর কাছে সমুদ্র প্রিয় কারোর আবার পাহাড়। ডিসেম্বরের শুরুর থেকেই সবাই তাই রওনা হয়ে পড়ে নিজ নিজ পছন্দের জায়গায়। যদিও করোনা এবং সদ্য আসা ওমিক্রণের ভয়ে অনেকেই দু বছরের মতনই এবছরও বাড়িতেই কাটাবে নতুন বছরের দিন গুলি। যারা এখনও ভাবছেন পাহাড়ে যাওয়ার কথা তারা ছুটেছেন দার্জিলিং থেকে শুরু করে নানা পাহাড়ের কোলে। কিন্তু যাদের তুষারপাত পছন্দ,মনে মনে ভাবছেন বছরের শুরু অর্থাৎ ২০২২ টা”সাদা নববর্ষ” হিসাবে উৎযাপন করবো তাদের জন্য রইলো এমন কিছু জায়গার নাম যেখানে ঠিক এই ডিসেম্বর জানুয়ারি অর্থাৎ বছরের পর্যটনের এই বিশেষ সময় তুষারপাত দেখা যায়। নিম্নে রইলো সেই সমস্ত জায়গার তালিকা।
প্রথমেই ভূস্বর্গ হিসাবে বলা যায় এখন কাশ্মীরের গুলমার্গ। এই মুহূর্তে সেখানে বরফে ঢাকা। এই জনপ্রিয় ভ্রমণ স্পটে আকস্মিকভাবে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আগমন ঘটেছে। ট্যুরিজম কাশ্মীরের ডিরেক্টর ডঃ জিএন ইটু একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে শুধুমাত্র নভেম্বর মাসেই ১২০,০০০এরও বেশি পর্যটক কাশ্মীর পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন “ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে সংখ্যাটি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে কারণ কাশ্মীর অনেক ভ্রমণকারীদের জন্য ‘যাওয়ার গন্তব্য’ হয়ে উঠছে।” এই জায়গাটিতে প্রচুর পরিমাণে তুষারপাত হয় এবং প্রতি বছর এই সময়ে শীতের আশ্চর্যভূমিতে পরিণত হয়।
দ্বিতীয় হিসাবে উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডের আউলি। ভারতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে এটি পরিচিত। ডিসেম্বরে এখানে তাজা তুষারপাত হয় এবং সারা দেশ থেকে স্কিইং উৎসাহিরা এই জায়গায় ভিড় করে৷ এখানে যাওয়ার সোজা পদ্ধতি হল ঋষিকেশ থেকে মাত্র ১০ ঘন্টার পথ। এখানে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে স্কি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। এখানে দিল্লির মাধ্যমেও সহজে পৌঁছানো যায়, অর্থাৎ সড়কপথে দিল্লি এবং আউলির মধ্যে দূরত্ব ৫০৪কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:Roundup 2021: আবহাওয়ার মতনই বদলেছে দলের রংও, জেনে নিন কে কোন নতুন দলে ভিড়লো এবছর
তৃতীয়ত মানালি। যেখানে এখন প্রবল তুষারপাত হচ্ছে এবং হিল স্টেশনটি সারা দেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় জমাচ্ছে। মানালি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রোহটাং পাসেও তাজা তুষারপাত হয়েছে ইতিমধ্যেই। মানালি সমস্ত সুন্দর ও তুষারময় হয়ে উঠেছে এবং সমস্ত জায়গা থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। গত মঙ্গলবার, বরফের একটি পুরু স্তর গাড়ি চালানো অসম্ভব করে তুলেছিল। প্রায় ৫০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পরিত্যাগ করতে হয়েছিল এবং পর্যটকদের চার চাকার গাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
চতুর্থত লাদাখ। জায়গাটি পৃথিবীর স্বর্গের চেয়ে কম নয়। পর্যটন গন্তব্য তার দর্শনীয় ভূ-সংস্থানের কারণে সমস্ত জায়গা থেকে অ্যাডভেঞ্চার উৎসাহী এবং প্রকৃতি প্রেমীদের আকর্ষণ করে। এই অঞ্চলে তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যায় এবং রাতে এটি আরও -৩০ ডিগ্রিতে নামতে পারে। আবহাওয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে এই অঞ্চলে তুষারপাত হবে।তালিকার পরেরটি মুন্সিয়ারি। এই জায়গাটি দিল্লি থেকে প্রায় ১৫ ঘন্টার পথ এবং ডিসেম্বরের শেষের দিকে তুষারপাত হয়। সাদা নববর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা করা অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য এটি দিল্লির কাছে সেরা তুষারপাতের গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি। এখানে রেকর্ড করা দিনের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৪ ডিগ্রি।
এবং তারপর চাক্ষুষ আনন্দ উপভোগের জন্য রয়েছে সোনমার্গ। এখানে তুষারের দ্বারা সাদা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। জম্মু ও কাশ্মীরের অত্যাশ্চর্য হিল স্টেশনটি কাশ্মীর উপত্যকার মহান হিমালয় হিমবাহের কাছাকাছি এবং বেশ কয়েকটি সুন্দর চূড়া দিয়ে বেষ্টিত এই জায়গাটি।সবশেষে আপনি যদি শীতকালীন ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে পেহেলগাম আপনার জন্য সেরাজায়গা। কাশ্মীরের মনোমুগ্ধকর হিল স্টেশনে ডিসেম্বরে ভাল তুষারপাত হয় এবং তাপমাত্রা শূন্যের নিচে চলে যায় যা এটিকে সুন্দর করে তোলে। সুতরাং, আপনি কোন জায়গা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করছেন এ মুহূর্তে?