Viral wedding: নিয়ম ভাঙতেই বিয়ে! বর নয়, সহযাত্রীদের নিয়ে হবু স্বামীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হাজির কনে

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তাই সমাজে থাকতে গেলে নিয়ম মেনেই থাকতে হবে। বহুকাল ধরে চলে আসা সমাজের এসব নিয়মের বেড়াজালে আজও মানুষ আবদ্ধ। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ আজও পুরোনো সামাজিক নিয়মগুলি অন্ধের মত মেনে চলে। তাদের কাছে এসব নিয়ম ভাঙ্গা মানেই অপরাধ। বিবাহ থেকে শুরু করে বহু সামাজিক বিধির এসব চিরাচরিত নিয়মগুলি ভাঙতে আজও মানুষ ভয় পায়। তবে সময়ের সাথে সাথে বদলেছে বহু মানুষ। আর এসব মানুষরাই সমাজের চিরাচরিত নিয়ম ভঙ্গের লড়াইয়ে নেমেছে।
সময় বদলাচ্ছে। আর সময়ের সাথে সাথেই বদলাচ্ছে মানুষও। ধীরে ধীরে অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দিকে এগোচ্ছে মানুষ। চলছে একের পর এক সামাজিক বিধি ও নিয়ম ভঙ্গের লড়াই। বেশ কিছুদিন আগে এমন একটি মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল গোটা কলকাতা। ‘বিবাহ কেবল নারী এবং পুরুষের মধ্যেই সম্পন্ন হয়’, বহুকাল ধরে চলে আসা সমাজের এই নিয়ম ভেঙেছিল দুই সমকামী পুরুষ মিলে। একে অপরকে বিয়ে করে তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে এ ধারণা একেবারেই ভুল। সম্প্রতি আবারও বিবাহ নিয়ে চিরাচরিত নিয়ম ভঙ্গের সাক্ষী থাকল বাংলাদেশ ( viral wedding ) ।
বাংলাদেশে বিয়ে নিয়ে যে প্রচলিত প্রথা রয়েছে, তা ভেঙে সকল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। বাঙালি প্রথা অনুযায়ী, বিয়ের দিন বর তার সহযাত্রীদের নিয়ে কনের বাড়িতে যায়, এবং সেখানেই বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে এদিনের বিবাহের ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত ঘটনাটি ঘটেছিল।
এদিন শৈলকুপা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের কন্যা সেলিনা নিজের সহযাত্রীদের নিয়ে মনোহরপুর গ্রামে সামসুদ্দিন লস্করের পুত্র এমএ মালেক শান্তর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। সেখানেই চলে বিবাহের প্রস্তুতি। জানা যায় মালেক শান্তর পক্ষ থেকেই এই প্রস্তাবটি এসেছিল। এরূপ ব্যতিক্রমী একটি বিবাহের সাক্ষী হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও উৎসাহের কমতি ছিল না। জানা যায় যে, এর পিছনে তাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল। তা হল এই বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যের বৈষম্য দূর করতে একটি নজির গড়ে করা।