আমিষে না কিন্তু দরকার প্রোটিন! দেখে নিন এমন কিছু নিরামিষ খাবার যা কিনা প্রোটিনের খনি

ভারত বিশ্বের সর্বাধিক নিরামিষাশী দেশ। এই দেশের প্রায় ২৭% মানুষ কোনো ধরনের প্রাণীজ মাংস ভক্ষণ করেন না। এর পেছনে যেমন সাংস্কৃতিক কারণ আছে তেমনি আছে ব্যক্তিগত কারণ। কিন্তু শরীর তো আর আমিষ নিরামিষ এসব মানে না। তার চাই চাহিদা মত পুষ্টি। আর মানব দেহের স্বাস্থ্য ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল প্রোটিন। প্রোটিন যে শুধু আমাদের দেহে শক্তি যোগায় তাই নয়, তা আমাদের রোগের সাথে লড়তে ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষাতেও সাহায্য করে। দেহে পর্যাপ্ত প্রোটিন না পৌঁছলে নানা প্রোটিনের অভাব জনিত রোগও দেখা দিতে পারে।

আমরা প্রায় সকলেই জানি প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল প্রাণীজ খাবার। মাছ, মাংস, ডিম এই ধরনের আমিষ খাবার থেকেই মূলত প্রোটিন পাওয়া যায়। কিন্তু যারা সম্পূর্ণ নিরামিষাশী তারা প্রোটিন পাবে কোথায়। তাই দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু অপ্রাণীজ খাদ্য যা থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন আহরণ সম্ভব। এই তালিকায় এমন কিছু খাবার আছে যা প্রোটিনের দিক দিয়ে মাংসকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম।

প্রথমেই যেই খাবারটির কথা উঠে আসে তা হল রাজমা। বাংলায় খাবারটি খুব একটা প্রচলিত না হলেও উত্তর ভারতে রাজমা-চাওয়াল খুবই জনপ্রিয়। সুস্বাদু এই বীজ শস্য প্রোটিনের ক্ষেত্রে আমিষের সহজলভ্য বিকল্প। এটা খেলে কিডনিও ভালো থাকে।
প্রোটিন জাতীয় আরেকটি নিরামিষ খাবার হল ডাল। আধকাপ ডালেই প্রোটিনের মাত্রা থাকে প্রায় ৯ গ্রাম। আর বাংলায় তো ভাত ডাল খুবই জনপ্রিয়।

Punjabi Rajma Masala Recipe - Rajma Chawal by Archana's Kitchen
কুমড়োর বীজ হল আরেকটি নিরামিষ প্রোটিনের উৎস। গ্রাম বাংলায় কুমড়োর বীজ দিয়ে নানা ধরনের সুস্বাদু পদ খাওয়া হয়। এটি খেলেও শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা মিটবে।
সোয়াবিনের কথা আমরা সকলেই জানি। এটিকে প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস কিংবা মাছের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী বলা চলে। এই খাবারটি তাই প্রায়ই মিড ডে মিলে দেওয়া হয়। ছাত্র ছাত্রীদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে।এর দামও মাছ মাংসের থেকে অনেকেটাই কম।

Soybeans | COMPO EXPERT
পিনাট বাটার হল এমনি আরেকটি খাবার। ২ চামচ পিনাট বাটারে ৮ গ্রাম অবধি প্রোটিন পাওয়া যায়। ভারতে এটি অতটা জনপ্রিয় না হলেও পশ্চিমের দেশগুলিতে এটি খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার।




Back to top button