Viral Badamkaku: নেট পাড়ায় চলছে দেদার ব্যবসা, কিন্তু ভাইরাল গানেও কেন অভাব ঘুঁচছে না বাদাম কাকুর

রাখী পোদ্দার,কলকাতা : “বাদাম বাদাম”। সিটি গোল্ডের চেন, ভাঙ্গা মোবাইল, সবের সাথে বাদাম। এক অনবদ্য কম্বিনেশন। আর বাঙালীই যে এই কম্বিনেশন করতে পারে, সে আর বলার বাকি রাখে না। সবই বাদাম-বাদাম। আর এই বাদাম(nuts) খেতে কে না পছন্দ(like) করে। ছোটো থেকে বড়ো সকলেই পছন্দ করে এই বাদাম। সন্ধ্যাবেলা(evening) নোনতা বাদাম আর তার সাথে মুড়ি মাখা খেতে খেতে পরিবার(family) কিংবা বন্ধুদের(friends) সাথে আড্ডাটা এক্কেবারে জব্বর জমে যায়। সম্প্রতি(recently) সোশ্যাল মিডিয়ায়(social media) ভাইরাল(viral) হয় এক গান(song)। সকলের প্রিয়(favorite) এই নোনতা বাদাম নিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই গানটি। ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম , আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম’। আট থেকে আশি সকলের মুখেই কম বেশি শোনা যাচ্ছে এই গান।
যে মানুষটি এই গান করেছেন তিনি পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা। তাঁর নাম ভুবন বাদ্যকর। বীরভূম(birbhum) জেলার দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের(district) বাসিন্দা। ভুবনবাবুর দাবি, তাঁর তৈরি করা এই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। বহু মানুষ তাঁর এই গান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা(money) কামাচ্ছে, কিন্তু যিনি স্রষ্টা তাঁর এতে লাভ হচ্ছে না কিছুই। অভাব(poverty) পিছু ছাড়েনি তাঁদের। এমনকি ইউটিউবেও( you tube) ওই গানে তাঁর কপিরাইটই(copy right) দেখাচ্ছে, কিন্তু তিনি নিজে কোনও গানই আপলোড(upload) করেননি।
যদিও এই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ভুবনের পাশে দাঁড়াল বীরভূমের দুটি সংস্থা উপহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং সমব্যথী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাদাম বিক্রি করেন ভুবন, সঙ্গে থাকে তাঁর সৃষ্ট গান। এবার আর তাঁকে একই গান বারবার যাতে গাইতে না হয় আর বাদাম বিক্রির সময় তাঁর গান যাতে সবাই শুনতে পায়, সেইজন্য তাঁকে দেওয়া হল মাইক্রোফোন( microphone) লাগানো সাউন্ড বক্স( sound box)। অন্যদিকে তাঁর তৈরি এই গান নিয়ে রমরমিয়ে ব্যবসা( business) চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। বাংলাদেশের( Bangladesh) এক ব্যক্তি তো এইসব দিক থেকে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে, ভুবন বাদ্যকরের গানকে নিজের কপিরাইট( copy right) বানিয়ে নিয়েছেন। আর এই সবেই বেজায় ক্ষিপ্ত ভুবনবাবু।
আরও পড়ুন- ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী, ধেয়ে আসছে বিশালাকার গ্রহানু
এই অভিযোগ নিয়েই তিনি শুক্রবার হাজির হন দুবরাজপুর থানায়। দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেনকে জানান, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর সৃষ্ট গান নিয়ে কেউ যেন ব্যবসা করতে না পারে, গানটি তাঁরই এবং তাঁর সম্মান তাঁকেই যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভুবন বাদ্যকর মৌখিকভাবে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন। দুবরাজপুর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করে মানুষ জন, কেউ কেউ তো আবার তাঁর গান রেকর্ড(record) করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে খানিকটা অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে ভুবনবাবু ও তাঁর পরিবারকে(family )। সম্প্রতি আরও একটি নতুন গান শোনালেন তিনি। তার আগের বাদাম বিক্রির আন্দাজকে পছন্দ করে ‘বাদাম! বাদাম!” গান নেট জগতে হাওয়ার মত ছড়াচ্ছে বাদামের সুভাষ। আর এই নতুন গানের যে কত মায়া, তাও বোঝা যাবে রাতারাতি।