West Bengal- ফের একবার সেরার মুকুট বাংলার মাথায়, বিরল গবেষণায় জাতীয় খেতাব পেলেন কল্যাণীর অধ্যাপক

বেলুড় বিদ্যামন্দিরের ছাত্র(Student) ছিলেন তিনি। জার্মানি থেকে পিএইচডি(Phd), তারপর মাটির টানে দেশে ফিরে আসা। বর্তমানে মোহনপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ(IISER), কলকাতায়(Kolkata) রাসায়নশাস্ত্রের সহযোগী অধ্যাপক তিনি। নিজের জীবনের একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন গবেষণার(Research) কাজে। এবার অবশেষে মিলল সেই ঘুমহীন রাত জাগা পরিশ্রমের দাম। ম্যাঙ্গানিজ(manganese) মেটালের(Metal) উপর গবেষণা করে তিনটি জাতীয় পুরস্কারে(National Award) ভূষিত হলেন কল্যাণীর বিজ্ঞানী-অধ্যাপক বিপ্লব মাজী।

ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি(Indian National Science Academy) ইয়ং সায়েন্টিস্ট(Young Scientist) খেতাবে ভূষিত করেছে। এছাড়াও, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সস ইন্ডিয়া অধ্যাপক মাজীকে ইয়ং সায়েন্টিস্টের পদক দিয়েছে। পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স তরফে তাঁকে ইয়ং অ্যাসোসিয়েট হিসেবেও সম্মানিত করা হয়েছে।

Scientist,Research Scholar,Kalyani,West Bengal,National Award,জাতীয় পুরস্কার,কল্যাণী,গবেষক,গবেষণা,বাংলা খবর,খবর,অধ্যাপক,ম্যাঙ্গানিজ অনুঘটক,ম্যাঙ্গানিজ গবেষণা,বিজ্ঞান,Bengali News,News,Kolkata News,West Bengal News,National Award News,manganese research,Researcher

উল্লেখ্য, অধ্যাপক বিপ্লব মাজী একটি বিবৃততে জানিয়েছেন, “একটি বেসরকারি কেমিক্যাল প্রস্তুতকারক সংস্থার উদ্যোগে ম্যাঙ্গানিজ মেটাল শাখায় সাসটেইনেবল ক্যাটালিস্ট ডেভেলপমেন্টে বিশেষ অবদানের জন্য এই বছর আমাকে আরও একটি ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। আমার ল্যাবরেটরিতে ১৫ জন রিসার্চ স্কলার এবং তিনজন স্নাতকোত্তর পড়ুয়া কাজ করছেন। এই গবেষণায় তাঁদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ”

আরও পড়ুন…..Baby Born in moving train :হঠাৎ প্রসববেদনা, চলন্ত ট্রেনেই ভূমিষ্ঠ হলো শিশু

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালেই মাত্র ২৯ বছর বয়সে আইআইএসইআর, কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। গবেষণার মাধ্যম দিয়ে তিনি সাধারণতভাবে নতুন নতুন অনুঘটক তৈরি কাজ করে থাকেন। ম্যাঙ্গানিজের নানা অনুঘটক তৈরি মাধ্যম দিয়ে তিনি এই অ্যাওয়ার্ডগুলি পেয়েছেন। তাঁর গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, এই অনুঘটকগুলি যথেষ্ট ভালো ভাবে কাজ করছে। এমনকি অনুঘটক মাধ্যমে নানা ধরনের ঔষধ তৈরিতেও সাহায্য হয়। তাঁর অনুঘটকগুলি যদি বাজারজাত করে ব্যবহার করা হয়, তাহলে পর্যাপ্ত জোগান মেটানোর পাশাপাশি ঔষধের দামও কমানো যাবে। কারণ, ম্যাঙ্গানিজ মাটির তলায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। জোগানের দিক থেকে লহা এবং টাইটেনিয়ামের পরেই ম্যাঙ্গানিজের স্থান। ফলে জোগান পর্যাপ্ত থাকলে দামও কমার সম্ভবনা থাকবে। ম্যাঙ্গানিজের এই নতুন অনুঘটকগুলি বাজারজাত করতে পারলে পরোক্ষভাবে সাহায্য হবে সাধারণ মানুষেরই, এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানী-অধ্যাপকের।




Back to top button