এককথায় ধন কুবের! পৃথিবীর সবথেকে বড়লোক ব্যক্তি ইলন মাস্ক, এভাবে শুরু করেন নিজের দিন
আজকের বিশ্বায়নের যুগে টাকা হল যে জীবন যাপনের পথ তা একবাক্যে স্বীকার করবেন সকলেই। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ব্যক্তির সাফল্যের প্রতীক হয়ে ওঠে টাকা। বিশ্বের ধনী ব্যক্তির কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় যে কোনো ব্যক্তির অনুকরণীয় হয়ে ওঠে। তাঁদের গুণাবলী স্বপ্ন পূরণের উপাদান হিসেবে অনন্য হয়ে ওঠে। অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে ওঠার জন্য অন্যান্য মানুষের প্রবণতাও বাড়ছে।
আজকের এই মহামারীর সময়ে যখন চারিদিকে বেকারত্ব বাড়ছে, অর্থনীতি ধ্বসে যাচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে বাড়ছে ক্ষিদের হাহাকার। এই সময়েও বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের জীবন যাপন পাল্টায়নি এই ইঞ্চিও। মাঝামাঝি আয়ের করদাতারাও যখন হিমশিম খাচ্ছে, ধনীব্যক্তিদের জীবন যাপনে রাশ টানতে হয়নি একটুও। বিশ্বের প্রথম সারির ধনী ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেন।
ইলন মাস্ক ঊদ্যোক্তা এবং বিজনেস ম্যাগনেট হিসেবে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন। তিনি টেসলা মোটরস এবং স্পেসএক্স নামে নামী কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। টেসলা ইনকর্পোরেটেড এর সিইও হিসেবে ইলন মাস্ক ২০১৯ সালে ৫৯৫.৩ মিলিয়ন ডলার তাঁকে দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে ২২৯.৬ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য সম্পদ সহ বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন।
ইলন মাস্ক -এর স্পেসএক্স কোম্পানি ১৪৩টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) ২০১৭ সালে ১০৪টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে যে রেকর্ডটি অর্জন করেছিল, সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে স্পেসএক্স। ইলন মাস্কের বিলাসবহুল জীবন বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রথম সারির বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি প্রতিদিন রাতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমোন। প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঘুম থেকে ওঠেন।
ইলন মাস্ক সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্নান সেরে ফেলেন। তারপরেই তাঁর কর্মমুখর দিন শুরু হয়। তিনি সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ ঘন্টা নিয়মিত কাজ করেন। এই সময় সূচি অনুযায়ী টেসলায় প্রতি সপ্তাহে ৪২ ঘন্টা সময় দেন এবং স্পেসএক্সে ৪০ ঘন্টা সময় দেন। তিনি মধ্যাহ্নভোজনের পর কারখানার চারপাশে হাঁটেন, সন্ধ্যার সময় পরিবারের সাথূ সময় কাটাতে ভালোবাসেন। যদিও, তাঁর নিষ্ঠা ও কাজের প্রতি সততাই হল সাফল্যের প্রধান উৎস তা তিনি বিভিন্ন বক্তৃতায় স্বীকার করে নিয়েছেন।