Horoscope Today: বাঁক কাঁধে শিবের আরাধনা করতে যাবেন? এই ভুল করলেই মাঝ পথেই যেতে পারে প্রাণ

মন্টি শীল, কলকাতা: শেষ লগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলা ক্যালেন্ডারের আষাড় মাস অর্থাৎ সামনে আসতে চলেছে শ্রাবণ মাস। দিন পঞ্জিকা অনুসারে, আগামী ১৮ ই জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রিয় মাস অর্থাৎ শ্রাবণ মাস। আর এই শ্রাবণ মাস আসতে না আসতেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের। গন্তব্য একটাই, বাঁক কাঁধে নিয়ে শিব মন্দির বিশেষত তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা। আর এর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই সময় একত্রিত হন মহাদেবের আরাধনা করতে। মনে করা হয়, যদি জল ভর্তি বাঁক কাঁধে নিয়ে যাত্রা করে শেষে সেই জল দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করা হয় তবে ভক্তদের সমস্ত মনোস্কামনা পূরণ হবে। কিন্তু এই বাঁক কাঁধে নেওয়ার সঠিক নিয়ম না জানলে ঘটতে পারে বিপদ। তাই বাঁক নিয়ে যাত্রা করা পূর্বে এই বিশেষ পদ্ধতিগুলি অবশ্যই অনুসরণ করে নিন।

• বাঁক কাঁধে নিয়ে যাত্রা শুরু করার প্রথা
শাস্ত্র অনুসারে, সর্বপ্রথম বাঁক কাঁধে যাত্রা করেছিলেন ত্রেতা যুগের শ্রবণ কুমার। নিজের দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ বাবা মাকে তীর্থ করানোর হিমাচলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই শ্রবণ কুমার তাদের স্নানের জন্য কাঁধে বাঁক নিয়ে গঙ্গাজল নিয়ে এসেছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, সেই সময় থেকেই শুরু হয় বাঁক যাত্রা।

16c12

• বাঁক যাত্রার প্রধান গুরুত্ব
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বাঁক নিয়ে যাত্রা করলে দেবাদিদেব মহাদেব খুব সহজেই প্রসন্ন হন। যার দরুন প্রতি বছর এই শ্রাবণমাসে অগণিত ভক্তরা কাঁধে বাঁক নিয়ে মহাদেবের আরাধনা করার উদ্যেশ্যে যাত্রা করেন।

• বাঁক যাত্রার নিয়মাবলী
১, শাস্ত্র অনুসারে এই বিশেষ যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভক্তদের পরিপূর্ণ পবিত্রতা এবং স্বচ্ছতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

২, শাস্ত্র অনুসারে বলা হয়েছে, বাঁক কাঁধে নিয়ে যাত্রা শুরু করার পর যতক্ষণ না নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন ততক্ষণ ভূমিতে স্পর্শ না করানোই ভাল। যদি পথে বিশ্রাম নেওয়ার হয় সেক্ষেত্রে বাঁক রাখার বিশেষ জায়গায় সেটিকে টাঙিয়ে রেখে তারপর বিশ্রাম নিন।

16c13

৩, যাত্রা শুরু করার সময় থেকে শেষ পর্যন্ত গোটা পথ খালি পায়ে হাঁটতে হবে।

৪, পবিত্র জল দিয়ে মহাদেবের জলাভিষেক করতে হবে।

তবে আপনি এইটা জানেন কি আপনি যে বাঁকটি আপনি কাঁধে নিতে চলেছেন সেটিও বিভিন্ন রকমের হয়। তাঁর মধ্যে অন্যতম এবং কঠিনতম যাত্রা হল,

• দাঁড়ানো বাঁক যাত্রা
শাস্ত্র অনুসারে, এই বাঁক যাত্রা হল সবচেয়ে কঠিন যাত্রা। কারণ এই যাত্রাতে ভক্তরা তাঁদের বাঁককে ভূমিতে রাখতে পারবেন না। গঙ্গার জল নিয়ে হেঁটে যাত্রা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে যদি বিশ্রাম নেওয়ার হয় তবে আপনার সঙ্গী সেই বাঁক নিয়ে যাত্রা সম্পূর্ণ করতে পারেন।

এছাড়াও এই বাঁক যাত্রার অপর দুই প্রকার হল শৃঙ্গার বাঁক যাত্রা এবং ডাক বাঁক যাত্রা। তবে এই যাত্রার প্রকারভেদ যাই হোক না কেন, বাঁক কাঁধে নিয়ে যাত্রা করার সময় ভক্তদের মূল লক্ষ্য রাখতে হবে মনে শ্রদ্ধা এবং পবিত্রতা মেনে চলা। যাতে মহাদেবে তুষ্ট হয় এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। কারণ বাঁক যাত্রার অনিয়ম করলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।




Back to top button