Shahid Afridi: বোনের গলায় মালা দিয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি! কেন জুটল না অন্য পাত্রী জানেন?

এমন অনেক বিতর্ক থাকে যা কোনও কৃতি ব্যক্তিও জীবন থেকে মুছতে পারেননা। পৃথিবীর সব সম্পর্কের সমীকরণ আলাদা। তবু কোথাওই যদি সেগুলোর ব্যতিক্রম চোখে পড়ে তবে তিনি চলে আসেন বিতর্কের শীর্ষে। ঠিক যেমন, শাহিদ আফ্রিদি পাকিস্তান ক্রিকেট দুনিয়ায় অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত। তার দলের জন্য অবদান কম নয়, একা হাতেই ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তবু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাঁটাছেঁড়া কম হয় না। মাত্র ২০ বছর বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শাহিদ। কিন্তু কাকে বিয়ে করেন জানেন? নিজের বোনকে। একথা শুনে অনেকেই চমকে যান। কিন্তু খেলার বিশ্বে বোনকে বিবাহ করার উদাহরণ কম নেই। তাদের মধ্যে শাহিদ আফ্রিদি একজন।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি তাঁরই মামাতো বোন নাদিয়ার (Nadia Afridi) কে বিয়ে করেন। ২০০০ সালের ২২ অক্টোবর ধুমধাম করে বিয়ে হয় তাঁদের। বর্তমানে তাঁদের পাঁচটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। কীভাবে হয় এই বিয়ে জানেন? শাহিদ আফ্রিদি নিজেই একটি সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি কোনও একটি জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য কয়েকদিন বাড়ির বাইরে থাকবেন ঠিক করেন। এসময় তিনি তাঁর বাবাকে মজা করেই বলেন পাত্রী খুঁজতে। কিন্তু ফিরে দেখেন মজার কান্ড। বাবা পাত্রী নিয়ে তৈরি।কোনও কথা নয় সোজা বিয়ের মন্ডপ। সেখানে গিয়ে তো আরও চমক। যখন দেখলেন বধূ বেশে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরই মামাতো বোন নাদিয়া। বাবার আদেশ তো মানা কর্তব্য তাই বিয়ে সেরে ফেলেন। ছোটোবেলা থেকেই নাদিয়াকে চিনতেন শাহিদ, ফলে দাম্পত্য জীবনেও অসুবিধা হয়নি।
এমনকী নাদিয়াকে বিয়ে করার ঠিক পরের ম্যাচে শাহিদ আফ্রিদি মাঠে ঝড় তোলেন। দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেন , যেমন ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি তেমনি বল হাতেও পাঁচটি উইকেট নেন। তবে এতেও বিতর্ক এড়িয়ে যাননি। মাঝেমধ্যেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাটানি চলে।তবে এতে ফ্যান সংখ্যায় ভাটা পড়েনি কখনও। এখানেও এক মজার অভিজ্ঞতা আত্মজীবনীতে শেয়ার করেন শাহিদ। তিনি জানান, , “বিয়ের আগে এক মহিলা প্রায়শই আমাকে ফোন করে কথা বলতে চাইত। তাঁর গলার স্বরটা একেবারে অন্যরকম ছিল। এরপর আমরা একদিন ঠিক করলাম দেখা করব। আমি তাঁকে আমার বাড়িতে ডেকেছিলাম। সে আমার বাড়িতে এসে কলিংবেল বাজাতেই আমি দরজা খুলেই দেখি সামনে দাঁড়িয়ে একজন হ্যান্ডসম যুবক। আমি তো হকচকিয়ে গেছি। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম যে উনিই সেই মহিলাকন্ঠী যার সঙ্গে কত কথা বলতাম। সেইসময় আমি মনে জোর একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম।” পরবর্তীকালে অনেক কষ্ট করে তাকে বুঝিয়ে মুক্তি পাই। কিক্রেট জীবনের এমন অনেক মজার ঘটনা রয়েছে শাহিদের। তবে এখন তিনি অবসর জীবন কাটাচ্ছেন । পাঁচ কন্যা আর স্ত্রী তাঁর নিয়মিত সঙ্গী। ২০১৮ সালের ৩১ মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন শাহিদ আফ্রিদি।