বর্ষা আসতে না আসতেই ডেঙ্গুর ব্যাটিং শুরু..

ডেঙ্গু বাড়াচ্ছে চিন্তা!! কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। বর্ষার বৃষ্টি সেইভাবে শুরু না হলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে। গত কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যে  হারে  ক্রমশই বেড়েছে তাতে প্রশাসন চিন্তায় । এখনও অবদি পাওয়া খবর অনুসারে এই রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪,৪০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। কলকাতা ও লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগণার ঘনবসতিপূর্ণ  জেলায় এইসময়টা মশাবাহিত রোগের দাপট বেড়েছে । একই সঙ্গে এই তালিকায় আছে নদীয়া, হাওড়া ও মুশির্দাবাদও ।
  সোমবার বিধানসভায় এই বিষয় নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। উনি বলেন এই রাজ্যে পঞ্চায়েত এলাকায়  ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রতিকার করার মত উপযুক্ত ব্যবস্থা এখনও তৈরী করা যাচ্ছে না। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বহু জায়গায় এখনও বোর্ড গঠিত হয় নি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই কলকাতা পৌরসভা থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে  রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল যে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হোক। এই দিন কলকাতা পুরসভার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেই মুখমন্ত্রী জানান ” বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়লে কি করার আছে? কাউকে তো ঢুকতে বারণ করতে পারি না। ” তিনি একইসঙ্গে রাজ্যের বেসরকারী হাসপাতালগুলিকে
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোনরকম গাফিলতি না করার নির্দেশ দেন। যদি কোনো বেসরকারী হাসপাতাল ডেঙ্গুর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমনটাই হুশিয়ারি দেন। হাসপাতালগুলি  যদি হেলথ কার্ড নিতে অস্বীকার করে তাহলে তার লাইসেন্স অবদি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান।
Mamata Banerjee West Bengal Legislative Assembly,dengue
বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী  জানান মু্খ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে ডেঙ্গু সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এই রাজ্যে এখনও অবদি ১০ লক্ষ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ইস্যুতে তারা বিধানসভা বয়কট করেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য  দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই তারা একটি গাইডলাইন জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে ২ দিনের বেশী জ্বর, গা হাত, পা ব্যথা থাকলে অব্যশই রক্ত পরীক্ষা করা জরুরী। গায়ে লাল লাল দানা বা নাক মুখ থেকে রক্ত বেরোলেও রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতর। তারা একটি বিশেষ টিম গঠন করে যে যে জেলাগুলিতে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশী সেই এলাকায় নজরদারি চালিয়ে রিপোর্ট পেশ করার ব্যবস্থা নিয়েছে।




Leave a Reply

Back to top button