Visva Bharati University : ভার্চুয়ালি ‘গালি’, বিশ্বভারতী উপাচার্যকে নিয়ে ফের অস্থিরতা নেটপাড়ায়

ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অস্থিরতা। মিটিং চলাকালীন উপাচার্যকে গালিগালাজ করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Visva Bharati University ) । ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল(Viral) সেই অডিও ক্লিপ। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী ( Visva Bharati University )  উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে ইতিমধ্যে আবার উপাচার্যকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে(Virtual Meeting) গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল। কোভিড পরিস্থিতি মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বিশ্বভারতী ( Visva Bharati University ) -তে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মিউজিক থেরাপি(Music Therapy)-র ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই থেরাপিতেই প্রতি সন্ধ্যাবেলায় বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও কর্মীরা অংশ নেন।

Visva Bharati UniversityVisva Bharati University

কোনও অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা নৃত্য কিংবা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কেউ নাটকের কোনও দৃশ্য তুলে ধরেন। কিন্তু গোটাটাই ভার্চুয়ালি। প্রতিদিনের ন্যয় মঙ্গলবারও সঙ্গীতভবনের তরফে একটি মিউজিক থেরাপির ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেই কোনও এক অজানা অ্যাকাউন্ট থেকে এক ব্যাক্তি মিটিংয়ে ঢুকে পড়েন। অ্যাকাউন্টটি কার তা জানতে চাওয়া হলে সে অশ্রাব্য ভাষায় উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়েন মিটিং-এ উপস্থিত থাকা আধিকারিক ও কর্মীরা।

Viral ভিডিও

এরপরই মুহূর্তের মধ্যে সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বভারতীর মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে? এছাড়াও, অজানা যে ব্যাক্তিটি মিটিং-এ ঢুকে পড়ে তার কাছে মিটিং-এর লিঙ্ক এলোই বা কোথা থেকে? এই গোটা ঘটনার পিছনে কি কোনও বড় অভিসন্ধি কাজ করছে? যদিও এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে সেটাই দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন…….Visvabharati Exclusive: উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বহিষ্কৃত SFI নেতার

Visva Bharati University উপাচার্যকে নিয়ে বিতর্ক

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী নিয়ে এখন রাজ্য জুড়েই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। এর আগেও একবার কুরুচিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করেই বীরভুমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বাহুবলী’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘বাহুবলীর জন্য নাকি থানায় অভিযোগ জানাতে পারছে না বিশ্বভারতী। বাহুবলীর দাপটে নিস্ক্রিয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’ মুলত বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনে চুরির প্রসঙ্গে এই কটাক্ষ করেছিলেন উপাচার্য। বস্তুত, সেই বিস্ফোরক মন্তব্যও একটি ভার্চুয়াল মিটিং-এ বসেই করেছিলেন উপাচার্য।

অবশ্য এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “ওঁর সাহস হয়নি আমার নাম নেওয়ার।” এই বিষয়টিকে বিশেষ আমল দেননি মন্ত্রী। এবার উপাচার্যকে গালি দেওয়ার ঘটনায় ফের বিতর্ক শুরু বিশ্বভারতী চত্বরে।




Leave a Reply

Back to top button