চাকরি গেল ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। হাইকোর্টের রায় বহাল, SSC-র ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল।

SSC Recruitment Case Verdict Live Updates: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল হয়ে গেল পুরো প্যানেল। চাকরিচ্যুত হলেন ২৫,৭৫২ জন।

SSC Recruitment Case Verdict LIVE: এসএসসি দুর্নীতি মামলা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল প্রায় ২৬ হাজার চাকরি, নতুন নিয়োগের নির্দেশ | ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে পুরো প্যানেল বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, ফলে এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি (আদতে ২৫,৭৫২) বাতিল করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসি’র মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা চাইলে আগের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। তবে যাঁরা ২০১৬ সালের এসএসসি’র মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট আগেই ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করা হয়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। নির্ধারিত সময়ে রায় প্রকাশিত হয়েছে।

বিচারকদের পর্যবেক্ষণ: কারা যোগ্য, তা নির্ধারণ সম্ভব নয়

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি এতটাই গভীরে ছিল যে, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়নি। কারণ, আসল ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) উদ্ধার করা যায়নি, ফলে প্রকৃত তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব। এসএসসিকে জিজ্ঞাসা করা হলে কমিশনের আইনজীবী জানান, ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ এবং প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে থাকলেও ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য নেই।

সিবিআইয়ের দাবি, অনেক প্রার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন। তাই এই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল হওয়া উচিত। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, এতজন শিক্ষকের চাকরি একসঙ্গে চলে গেলে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

বেতন ফেরত দিতে হবে চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের

এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে বা অন্য কোনও অবৈধ পদ্ধতিতে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ-সহ ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।

রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিল। চাকরি হারানো প্রার্থীরাও পৃথক মামলা করেছিলেন। প্রথমে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেও, অবশেষে এই রায় দিল শীর্ষ আদালত।

নতুন পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন

গত ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না জানতে চান, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কি না। তখন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, অনেক প্রার্থী আবেদন না করেও চাকরি পেয়েছেন। তাই যাঁরা সঠিকভাবে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।

শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ রাজ্যের পুরো নিয়োগ প্যানেলই বাতিল করে দিল। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দিল শীর্ষ আদালত।




Leave a Reply

Back to top button