নতুনভাবে সাজতে চলেছে দীঘা, উদ্যোগী প্রশাসন
সৈকত সুন্দরীকে আরও সাজিয়ে তুলতে এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে বিশেষ নজর দিচ্ছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ তথা জেলা প্রশাসন।

দীঘার পারে হকার-দৌরাত্ম্য, বড়দিনের আগেই কি বড় বদল?
দীঘার সমুদ্রপারে হকারদের রমরমা। এক এক সময় তো হাঁটার সুযোগটুকু পান না পর্যটকরা। পারের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকেন হকাররা। শুধু তাই নয়, অনেকে আবার সমুদ্রের ধারে ঘুরে ঘুরেও জিনিস বিক্রি করেন। পর্যটকদের জন্য এটা বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। অনেকে তো বলেই ফেলেন, শান্তি করে সমুদ্র উপভোগটুকুও করা যায় না। এবার দীঘাকে এই যন্ত্রণা থেকে ও হকারমুক্ত করতে চায় জেলা প্রশাসন। বিশেষ পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৈকত সুন্দরীকে আরও সাজিয়ে তুলতে এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে বিশেষ নজর দিচ্ছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ তথা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়। সেখানেই নেওয়া হয় এমনই সিদ্ধান্ত।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিনের আগেই দীঘায় এই হকার উচ্ছেদের কাজ শুরু করা হবে। জানা গিয়েছে, যেসব হকার স্টলের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে বাকি হকারদেরই উচ্ছেদ করা হবে। এখানে হকারদের কথাও ভাবা হচ্ছে।
এদিকে, দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনওরকম ভাঙাভাঙি হবে না। বড়দিনের আগে সকলকে মৌখিকভাবে সরে যেতে বলা হবে। শুক্রবার থেকে এই নিয়ে প্রচার ও মাইকিং শুরু হবে। স্টলের জন্য আবেদন করেও স্টল না পাওয়াদের পরিচয় কার্ড দেওয়া হবে। যাঁদের এই কার্ড থাকবে তাঁরা ব্যবসায় সুবিধে পাবেন বলে জানা গিয়েছে।