Statue of Equality : এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূর্তি

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : ১০১৭ সালে তামিলনাড়ুর ( Tamilnadu) শ্রীপেরুম্বুদুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন গোঁড়া। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সমস্ত ক্ষেত্রেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন তিনি। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, লিঙ্গ, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, সকলের মধ্যেই ঈশ্বর রয়েছেন। তাঁর সেই মুক্তমনা মনোভাব সকলের কাছে তুলে ধরতেই মোদি সরকার ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ ( Statue of Equality) পরিকল্পনা করেছিল।
Statue of Equality : মূর্তির ধরন –
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে পঞ্চলোহা দ্বারা। পঞ্চলোহা হল সোনা, রুপো, তামা, পিতল ও দস্তার মিশ্রণ। মূর্তির চারপাশে ১০৮টি কালো পাথরে খোদাই করা ছোট মন্দিরও থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) থেকে জানানো হয়েছে, ৫৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের উপর এই মূর্তিটি বসানো হয়েছে। এই ভবনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভদ্রা বেদী’। জানা গিয়েছে, নীচের তলায় ৬৩,৪৪৪ বর্গফুট এলাকা জুড়ে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে যাতে রামানুজাচার্যের জীবন এবং তাঁর দর্শনের কথা বলা হবে। দ্বিতীয় তলায়, প্রায় ৩০০,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে রামানুজাচার্যের ( Statue of Equality) একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে নিত্যদিনের পুজোর জন্য ১২০ কেজির সোনার মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে। ১৪,৭০০ বর্গফুটের শেষ তলায় বেদ ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই মূর্তিটি নির্মাণ করতে খরচ করা হয়েছে এক হাজার কোটি One Thousand Crore) টাকা।
Statue of Equality : রামানুজাচার্যের মূর্তি
বিশ্বের কাছে আরও এক দীর্ঘকায় মূর্তির উপহার নিয়ে আসছে ভারতবর্ষ। আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ( Prime Minister)। শনিবার হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে ভক্তিসন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের ( Sri Ramanujacharya) ২১৬ ফুট উঁচু মূর্তির উদ্বোধন করবেন তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূর্তি ( World’s Second Tallest Statue) হতে চলেছে রামানুজাচার্যের এই মূর্তিটি। সুউচ্চ এই মূর্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি’ ( Statue of Equality)। একাদশ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক সন্ত রামানুজাচার্যের ১০০০ তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করতেই এই সুউচ্চ মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তেলেঙ্গানায় ( Telangana) হায়দ্রাবাদের ( Hyderabad) কাছে অবস্থিত সামাশাবাদে ৪৫ একর জমির উপর এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু ত্রিদণ্ডী শ্রী চিন্না জিয়ার স্বামী ( Sri Chinna Jiyar Swami) যে মন্দির স্থাপন করেছেন, সেখানেই স্থাপন করা হবে মূর্তিটি। ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলবে ২ সপ্তাহ ধরে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ( Ramnath Kobind)। এছাড়াও থাকবেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ( Chandrashekhar Rao) ও চিন্না জিয়ার স্বামী ( Chinna Jiyar Swami)।