‘জাহান্নাম’ আফগানিস্তান! ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল বিমানবন্দর
“আর আগের মতো নেই আমরা”, আফগান-ভূমি দখলের পর থেকেই বিশ্বকে এমনই বার্তা দিয়ে আসছে তালিবানরা। যদিও ফতোয়া জারি থেকে নাশকতামূলক কার্যকলাপ, সব কিছুতেই এটা স্পষ্ট যে তালিবানরা রয়েছে তালিবানেই। অন্যদিকে তালিব-বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীর নাশকতার ঘটনায় যে জাহান্নামে পরিণত হচ্ছে আফগানিস্তান, তা স্পষ্ট। আফগান জমি দখলের পর থেকে যথেচ্ছাচারে মেতেছে জেহাদিরা। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সহায়তায় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গি কার্যকলাপ। বৃহস্পতিবার অব্যাহত থাকল তালিবানি-ট্রেন্ড! বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে তেমন কোনো আভাস দিতে পারেনি কোনো সূত্রই, খবর পেন্টাগনের তরফে। মার্কিন হেডকোয়ার্টারের মুখপাত্র জন কার্বি ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন বিস্ফোরণের কথা। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
ভারতে ফিরতে চাওয়া শিখদের আটকে দিয়েছে তালিবানরা। অন্যান্য দেশের নাগরিক সহ বহু মানুষ আটক কাবুল বিমানবন্দরে। দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন তাঁরা। এমতাবস্থায় বিমানবন্দরের বাইরে আচমকা বিস্ফোরণে প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন অধিকাংশই। ইতিপূর্বে ২৪শে অগস্ট, তালিবানের বিরোধী জঙ্গিদল আইসিস-খোরাসানের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, তালিব-কার্যকলাপকে টেক্কা দিতেই আইসিস খোরাসানের এহেন নাশকতা!
আগামী ৩১শে অগস্টের মধ্যেই আফগানভূমি ত্যাগ করার ‘ডেডলাইন’ জারি করেছে তালিবানরা। শর্ত মেনে আফগানিস্তান ছাড়ার তোড়জোড় শুরুও করে দিয়েছে মার্কিন সেনা। এমন পরিস্থিতিতে আইসিস খোরাসানের সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলে যে অবস্থা অবনতির সম্ভাবনা বাড়ছে, তা স্পষ্ট করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
২০১৫-২০১৮ সাল নাগাদ সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের অস্তিত্ব কায়েম করে আইসিস খোরাসান ওরফে আইসিস-কে। তালিবানের বিরোধী এই জঙ্গি সংগঠন তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত বিশ্বজুড়ে। অন্যদিকে আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই আইসিস ‘বন্দি’-দের মুক্তি দিতে শুরু করেছে জেহাদি সংগঠন। স্বভাবতই এর ফলে আইসিস সদস্যদের ক্ষমতা যে বর্ধিত হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।