রানু মন্ডলের পথে বাদাম কাকু, সংবাদমাধ্যমের সামনেই নিজেকে সেলেব্রিটি ঘোষণা

সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে মানুষের জীবনে আসে নানা মজার মজার উপকরণ। সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে মানুষের পরিচয়ের পর থেকেই মানুষের জীবনের নানা ক্ষণে নানা সময়ে প্রবেশ করেছে কোনও ভাইরাল উপকরণ। যেমন, বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম জুড়ে বেশ ভাইরাল কাঁচা বাদাম ( Kancha Badam ) গান ও সেই গানের গায়ক ওরফে “বাদাম কাকু”। ‘কাঁচা বাদাম’-এর জনপ্রিয়তার পর থেকেই বিকিকিনির দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন বাদাম কাকু। আর বাদাম বিক্রি করবেন না বললে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বীরভূমের ভবন বাদ্যকর ওরফে ‘বাদাম কাকু’।

বৃহস্পতিবার ইসলাম বাজারে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, “আমি এখন সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছি। এখন বাদাম বিক্রি করলে সবাই ঘিরে ধরবে, বাদামই ( Kancha Badam ) বিক্রি হবে না। আর আপনাদের কাছে যখন পৌঁছে গিয়েছি, তখন আর আশা করি, বাদাম বিক্রি করতে হবে না।”

“আমার কাছে নাইকো বুবু ভাজা বাদাম/আমার কাছে আছে শুধু কাঁচা বাদাম…….।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গানের জনপ্রিয়তা এখনও তুঙ্গে। ফেসবুক হোক কিংবা রিলস, সর্বত্র কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ভুবন বাদ্যকরের গান। বীরভূমের কুড়ালজুড়িতে গায়ক ভুবন বাদ্যকরের বাড়িতে মানুষের ঢল। বার্নপুরের একঝাঁক তরুণ-তরুণী ‘বাদাম কাকু’র ( Kancha Badam ) পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে পিয়ানো উপহার দিয়েছেন। এছাড়া শাল, কম্বল, ফুল ও মিষ্টিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁদের তরফে। বাদ্যযন্ত্র পেয়ে আবেগে আপ্লুত ভুবনবাবু নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে বলেন, এবার গায়ক হতে চান।

আরও পড়ুন ফের বাংলার নক্ষত্রপতন, প্রয়াত ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত, শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী

সেই স্বপ্নই হয় তো এবার দ্রুত পূরণ হতে চলেছে। দেশে বিদেশে তো ভুবন বাবুর কাঁচা বাদাম ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া –নানা দেশের মানুষজন এই গানের ছন্দে নেচে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেই চারপাশে শুধুই ‘বাদাম-বাদাম’ ( Kancha Badam ) গানে মাতোয়ারা মানুষজন। তাঁর গান এই ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় মাঝে আবার কপি রাইট দাবিতে সরব হয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। এবার গোধূলি নামে এক মিউজিক কোম্পানি সেই দাবি পূরণে এগিয়ে এল। বৃহস্পতিবার ইলামবাজারে তাদের তরফে ভুবন বাদ্যকরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিনই স্বাক্ষরিত হয় চুক্তিপত্র। তিন লক্ষ টাকা চুক্তি হয়েছে। এদিনই দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় ‘বাদাম কাকু’র হাতে। পরে আবার দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

ইলামবাজারের ওই অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”ওরা আমাকে সংবর্ধনা দিল। আর তারই সঙ্গে তিন লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছে।” এরপরই এখন কি বাদাম বিক্রি করছেন? -এই প্রশ্ন শুনে ‘বাদাম কাকু’র সপাট জবাব, ”না না, এখন আর বাদাম ( Kancha Badam ) বিক্রি করি না। এখন তো আমি সেলিব্রিটি। বাদাম বেচতে গেলে সবাই ঘিরে ধরে, বাদাম বিক্রি হয় না।” বলা বাহুল্য, বাংলাদেশেও তুমুল জনপ্রিয় ভুবন বাদ্যকর। প্রতি মুহূর্তে তৈরি হচ্ছে প্রচুর রিলস। কিন্তু ‘বাদাম কাকু’র সাফ বক্তব্য, বাংলাদেশে যতই জনপ্রিয় হোন না কেন, সে দেশে যাবেন না তিনি।




Leave a Reply

Back to top button