ছিলেন দক্ষ অভিনেতা, হতে পারতেন রাষ্ট্রপতিও! জেনে নিন ফুটবলের রাজা পেলের জীবনের কিছু অজানা জানা তথ্য

ব্রাজিল তথা বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা যার নাম, সেই এডসন আরান্তেস ডো নাসিমেন্তোস কে আমরা সবাই চিনি পেলে নামে। কিংবদন্তি এই ফুটবল প্লেয়ারকে অনেকেই ফুটবলের সম্রাট উপাধিতে ভূষিত করেছে। ব্রাজিলের তিনটে বিশ্বকাপ জেতার পিছনে তার অবদান অদ্বিতীয়। কিন্তু, শুধুমাত্র এইটাই ফুটবলের সম্রাটের উত্তরাধিকার নয় , আসুন জেনে নেওয়া যাক তার ব্যাপারে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য।

নিজের গোটা কর্মজীবনে কোনোদিন ইউরোপের দলে খেলেননি

ক্যারিয়ারের ১৮টি বছর নিজের ক্লাব স্যান্টোস এর জন্য খেলে তিনি শেষ দু বছর খেলেছিলেন নিউ ইয়র্ক কসমসে।নিজের ২০ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে পেলে ইউরোপের কোনো দলে খেলতে যাননি। রিয়েল মাদ্রিদ এবং এসি মিলানের মতো বড়ো ক্লাব বার বার তাকে প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলেন কিন্তু তিনি সান্টোস ছেড়ে যেতে রাজি হননি।

গোগোলরক্ষর হিসেবেও খেলেছেন

হ্যাঁ , তারকা স্ট্রাইকার পেলে নিজের ক্লাব স্যান্টোসের হয়ে গোলরক্ষক হয়েও খেলেছেন। স্যান্টোসে কাটানো ১৮ বছরে , মোট ৪ বার উনি গোলরক্ষা করার দায়িত্ব সামলেয়েছেন। ১৯৬৪ সালের ব্রাজিলিয়ান কাপের সেমিফাইনালে তিনি বিকল্প গোলরক্ষর হিসেবে মাটিতে নামেন এবং একটিও গোয়াল না খেয়ে নিজের দোল কে ম্যাচটা জেতান।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন

১৯৯০ সালে, রিও দি জেনেরিওর এক সাংবাদিক সম্মলনে পেলে ঘোষনা করেন যে উনি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। যদিও তা আর হয়ে ওঠেনি ভবিষ্যতে। কিন্তু ১৯৯৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী পদের দায়িত্বভার সামলান এই ফুটবলের মহানায়ক। এই পদে থাকাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেন যাতে ব্রাজিলীয় ফুটবলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব প্রত্যাখ্যান করেছেন বারবার

দেশের হয়ে খেলে ৩টি বিশ্বকাপ নিয়ে আসার পরেও , পেলে নিজের ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একবার এর জন্যেও অধিনায়ক হননি। তিনি বার বার অধিনায়কত্বের থেকে দূরে থেকেছেন। তবে, ১৯৯০ সালে, অবসরের ১৬ বছর পর এক প্রীতি ম্যাচে , ৫০ বছর বয়সে উনি দলের অধিনায়কত্ব করেন।

সিলভেস্টার স্ট্যালোনের সাথে অভিনয় করেছেন

১৯৮০ সালে, ‘এস্কেপ টু ভিকট্রি ‘ সিনেমাতে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের সাথে একই পর্দায় অভিনয় করেন পেলে। মজার ব্যাপার হলো এই যে, সেই ছবিতে স্ট্যালোনের চরিত্র ছিল একজন স্ট্রাইকারের এবং পেলে হয়েছিলেন গোলরক্ষক। এই সিনেমার এক দৃশ্যে এক্রোবেটিক বাইসাইকেল শট পেলে একটাই মাত্র টেকে করেছিলেন।

বিটলসের সাথে দেখা হয়নি

১৯৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক কসমসে খেলতে যান পেলে। সেই সময় মার্কিন মুলুকে গিয়ে ইংরেজি শিখতে বাধ্য হন তিনি, যে ক্লাসে তিনি ইংরেজি শিখতে , যেতেন ওখানে তার আলাপ হয়ে বিখ্যাত সংগীতশিল্পী জন লেননের সাথে, গল্পে মজে লেনন জানান যে ১৯৬৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে লন্ডনের হোটেলে ব্রাজিলীয় দলের সাথে দেখা করতে যায় লেনন সহ বিটলসের অন্য শিল্পীরা। কিন্তু ব্রাজিলীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের অনুমতি না পাওয়া আর দেখা হয়ে ওঠেনি।




Back to top button