মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল ‘জট’, আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ‘খেলা হবে’!
অবশেষে কাটল ইস্টবেঙ্গল-শ্রী সিমেন্ট জট। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যদিও ফুটবল ক্লাবের চুক্তি সমস্যা মেটাতে কেন মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হল, সে বিষয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
অবশেষে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল! বুধবার নবান্নে বড় ঘোষণা মাননীয়ার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জট কাটল শতবর্ষের ক্লাবের। সূত্র মোতাবেক, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার জরুরি বৈঠকে বসেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। আর তারপরেই মেলে সমাধান সূত্র।
আইএসএলে খেলার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লাল-হলুদ পক্ষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিনিয়োগ-জট। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর জন্যেই যে এ সমস্যা থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে, তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। বুধবার এহেন ঘোষণার পর স্বভাবতই ফিরে এসেছে ডার্বি দেখার উত্তেজনা। সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই লাল-হলুদ শিবিরকে ‘শ্রী ইস্টবেঙ্গল’ বলে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন বাগান-সমর্থকরা।
নবান্নে দীর্ঘ বৈঠক শেষে বেশ খোশমেজাজে ফেলা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। খোলামেলাভাবেই মমতা জানান, “সব ভাল যার শেষ ভাল তার। আমি খুব খুশি যে এই জট কাটল।” বেশ মজা করেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি আজ বাড়ি গিয়ে চিংড়ি মাছের মালাইকারি খাবো।”
বৈঠক শেষে মমতা সাফ জানান, “এটা খুবই ভাল খবর। এটা হওয়ারই ছিল।ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে আমার অশেষ অভিনন্দন। আজ মোহনবাগানও খুব খুশিই হবে। আসলে আজ আমাদের বাংলার দুই ক্লাব খেলবে। আমি চাই এই দুই ক্লাবই খুব ভাল খেলুক। এটা ফুটবলের জয়!”
যদিও ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যে নতুন চুক্তি অনুযায়ী টার্মশিটে কী পরিবর্তন এল, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কিছুই। শতবর্ষ হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ ক্লাবের। এহেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবকে ফের একবার দেখা যাবে আইএসএলের মঞ্চে। ইস্টবেঙ্গলের অপর শীর্ষ কর্তা নীতু সরকার জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিদি আমাদের কাজটা অনেক সহজ করে দিল। তবে এখনই প্রকাশ্যে কিছু জানানো হবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
ইস্টবেঙ্গল-শ্রীর এই চুক্তির বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ক্লাব-কর্তারা। নবান্ন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথাতেই রাজি হয়ে যায় শ্রী-সিমেন্ট। যদিও এই ‘সাময়িক’ স্বস্তিতে যে চিঁড়ে ভিজবে না, তা স্পষ্ট। আগামী এক বছরের মধ্যে স্থায়ী সমাধানসূত্র বের না করলে যে রীতিমতো দুর্ভোগ পোয়াতে হবে লাল-হলুদ শিবিরকে, তা সাফ জানিয়ে দেন দেবব্রত সরকার।