দেওয়াল জুড়ে রঙিন ছবি, সংস্কৃতি রক্ষার্থে পুরভোটের মরসুমে দেওয়াল লিখন নিষিদ্ধ এখানে

রাজ্য জুড়ে ভোট মানেই দেওয়াল লিখন, প্রচার গাড়ি, জনসভার আয়োজন। তবে বীরভূমের ( Birbhum ) শান্তিনিকেতন লাগোয়া বোনের পুকুর ডাঙ্গা গ্রামে ছবিটা অন্যান্য জায়গার থেকে একটু অন্যরকম। ভোট এসে চলে গেলেও দেওয়াল রয়ে যায় অছোঁয়াই। বর্তমানে রাজনৈতিক জগতের কোন দলের মধ্যেও তাদের এই অঞ্চলে এই ধরনের সহযোগিতা সত্যিই দুর্লভ।

আরও পড়ুন: Gossips : প্রতিভাবান তাই আজও ব্রাত্য, স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খুললেন কনীনিকা

বীরভূমের ( Birbhum ) বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বোনের পুকুর ডাঙ্গা এলাকা তাই এমনই এক জায়গা যেখানে ভোটের মরসুমে দেওয়ালে ফুটে ওঠে না প্রার্থীদের নাম, ছবি, প্রতীক। আগে এটি পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত ছিল তবে এখন তা বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ( Birbhum ) । তবে ভোটের সময় দেওয়ার আশা না হলেও খালি পড়ে থাকে না তা কখনও।

 

এই অঞ্চলের ( Birbhum ) আদিবাসী মানুষদের সংস্কৃতি অনুযায়ী দেওয়ালে ফুটে ওঠে নিজেদেরই হাতে করা নানান ধরনের ছবি। সেই সমস্ত ছবি যাতে ভোট মরসুমে রাজনৈতিক প্রচারে নষ্ট না হয়ে যায় সেই কারণেই নির্বাচনের আগে থেকেই বাসিন্দারা পোষ্টার টাঙিয়ে রেখেছেন দেওয়াল লিখন নিষিদ্ধ করে। শুধু এই নির্বাচনে নয় ( Birbhum ) কোন নির্বাচনেই এখানকার দেওয়াল লিখতে দেন না বাসিন্দারা।

বাসিন্দাদের কথায় তাদের গ্রাম ( Birbhum ) খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো তাই ভোট মরসুমে শুধু প্রচারের জন্য ঘরের দেওয়ালে নিজেদের হাতে করে আঁকা সুন্দর ছবিগুলো নষ্ট করতে দিতে চান না তারা। লিখন বা হোডিং এই সৌন্দর্য নষ্ট করবে বলেই তারা রাজনৈতিক দল মতাদর্শ নির্বিশেষেই এই নীতি প্রয়োগ করেন।

 

তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলও। সবাই মিলে ঠিক করেছে দেওয়ালে কোন ছবি কিংবা প্রচার করা বা আঁকা হবে না বোনের পুকুর ডাঙ্গা গ্রামে। রাজনৈতিক দূরত্ব সরিয়ে দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ আবার একবার প্রমান করে দিয়েছেন রাজনীতি নয় যে কোন সমস্যার সমাধানে মানবিকতাই সবথেকে বড় অস্ত্র। ভোট মরসুমের পরেও তাই সুন্দরই থেকে যাবে বোনের পুকুর ডাঙ্গার বাড়িগুলোর দেওয়ালগুলো।

আরও পড়ুন: খাদ থেকে হাতি উদ্ধারে হাতিয়ার আর্কিমিডিস সূত্র, মেদিনীপুরের ঘটনায় আপ্লুত নেটনাগরিকরা

ভোটের সময় রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় মতন একই নিয়ম না মেনে নিজেদের জন্য আলাদা কিছু করে গর্ববোধ করেন এই অঞ্চলের মানুষজন। কারণ মানুষের স্বার্থ এবং সুবিধার্থেই করা রাজনীতি তাই ভোটারদের চাহিদা ও ইচ্ছা মেটাতে দ্বিধাবোধ করে না রাজনৈতিক দলগুলি। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গের এক প্রান্তে জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে মিলে কাজ করে চলেছে রাজনৈতিক মন্ডল যা দিনের শেষে তুলে ধরছে সাধারণ মানুষের ইচ্ছাকেই।

 




Leave a Reply

Back to top button