ভোটের ঘন্টাখানেক আগে ফের সন্ত্রাসের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমা দুষ্কৃতীদের

আর ঘণ্টাখানেক! দিন পেরোতেই রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ( Municipal Poll ) পুরভোট। আর এই পুরভোটকে ঘিরেই ফের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এদিন পুরভোটকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদ এলাকায়। তৃণমূলের পুর প্রশাসককে ঘিরে উঠছে বোমাবাজির অভিযোগ। তবে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কারা রয়েছে এই নিয়ে নেই কোনও স্পষ্ট ধারণা।
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ার ( Municipal Poll ) পুরসভার ১৬ নং ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী রোশনিহারা বিবির স্বামী তথা ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক মেহবুব আলমকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এমতাবস্থায় কিছু দুষ্কৃতি তাকে লক্ষ্য করে বোমা মারে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে রীতিমতো আহত হয়েছেন মেহবুব আলম। তড়িঘড়ি করে তাকে হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি। সামশেরগঞ্জের থানার পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
বস্তুত, শুধু সন্ত্রাসই নয়! পুরভোটের আগে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও চরমে। কয়েকদিন আগেই কান্দিতে ভোট প্রচার করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। এই পুরসভার ১৭টির মধ্যে ১৬টিতে তৃণমূলকে ( Municipal Poll ) জেতানোর আবেদন করেন তিনি। সেই সঙ্গে তৃণমূলের আরও একজন প্রার্থীকে কেউ ভোট না দেওয়ার কথাও বলেন ওই সভামঞ্চ থেকে। বিধায়ক কোনও প্রার্থী বা নেতার সরাসরি নাম না করলেও ইতিমধ্যে কান্দিতে ছড়িয়েছে নান গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে বিধায়কের নিশানায় ছিলেন কান্দি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মুনমুন সিনহা। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের এ হেন মন্তব্যের পর ফের একবার বেআব্রু তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল।
আরও পড়ুন…..আর পারলেন না অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি , করোনার পর এবার আক্রান্ত ডেঙ্গুতে
প্রসঙ্গত, রবিবারই রাজ্যে ১০৮ পুরসভায় পুরনির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক-বিরোধী শিবিরের মধ্যে তৈরি হয়েছ উত্তেজিত পরিস্থিতি। রাজ্যের নানা পুরসভায় দেখা গেছে শাস-বিরোধী বচসা। এদিন পুরভোটের মুখেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আইনজীবী অরুণাভ রায়। শুক্রবারের এই ঘটনায় রীতিমতো ( Municipal Poll ) শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয়ে যায় বাকবিতণ্ডা। একাধারে শাসক দলের দাবি, “উন্নয়নের টানেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে এসেছেন আইনজীবী।” অন্যদিকে আবার বিজেপি সূত্রে অভিযোগ, “প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাইছে তৃণমূল। ভয় দেখিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের নিজেদের দলে টানছে তৃণমূল।”