Ukraine-Russia war : দেশবাসীর মনোবল বাড়াতে টুইটারে ভিডিও বার্তা রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশে। বৃহস্পতিবার প্রথম আক্রমণের পর কার্যত চারিদিক দিয়ে ঘিরে ইউক্রেনেরউপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া(Ukraine-Russia war)। আক্রমণের পর ন্যাটো(NATO) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার উপর নানানপ্রকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অনবরত চাপে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।এমনকিব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীবরিস জনসন (Boris Johnson) কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে(Vladimir Putin)।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রায়৮০০- র বেশি রাশিয়ান সৈনিকের মৃত্যু ঘটেছে (Ukraine-Russia war) , রাশিয়া যে ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি দেশ সেটা সম্পর্কে কেউই অজ্ঞাত নয়।অস্রের ব্যবসা হোক বা আধুনিকীকরন রাশিয়া অনেক ক্রোশ এগিয়েই উক্রেনের তুলনায়।ইউক্রেনের দিকেএখনওপর্যন্ত কোনো ন্যাটো(NATO)দেশ সামরিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি।এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি আবেদনে সাড়া দিয়ে সে দেশের সাধারণ নাগরিকরা নিজদের মাটি রক্ষা করার জন্য হাতে তুলেনিয়েছে অস্ত্র।

আরও পড়ুন: দেশের অন্দরেই গড়ে উঠছে পুতিন বিরোধী কণ্ঠ, বিক্ষোভ রুখতে ফেসবুকের উপর বিধিনিষেধ চাপাল রাশিয়া

Russia invades Ukraine
Unclassified U.S. intelligence document obtained by The Washington Post. (Obtained by The Washington Post)

শোনা যাচ্ছে, ইউনাইটেড স্টেটস (US)  রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কিকে  রাজধানী কিয়েভের থেকে বার করে আনতে চাইছিল তার সুরক্ষার জন্য, কিন্তু রাষ্টপতি জেলেনস্কি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সাধারন মানুষ ও সৈনিকদে রমনোবল বাড়ানোর কাজে মনোনিবেশ করেন।শুক্রবার রাত্রেই উক্রেনের রাষ্ট্রপতি ও কিছু সরকারি কর্তারা একটি ভিডিও বার্তা সকলদেশবাসীর উদ্দেশ্যে আপলোড করেন টুইটারে, যাতে তিনি জানিয়েছেন সবাইকেএকসাথে কাধে কাধ লাগিয়ে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে

আরও পড়ুন:পুতিনের পক্ষেই রয়েছেন বঙ্গ বামেরা, রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করে ভাঙল নিস্তব্ধতা

এছাড়াও শনিবার দুপুরে তিনি আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে তিনি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানান, “ইন্টারনেটে প্রচুর ভুয়ো তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে আমি আমাদের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য বলেছি”, তিনি আরো জানান ,”আমাদের সত্য এই যে এটি আমাদের ভূমি, আমাদের দেশ, আমাদের সন্তান এবং আমরা এগুলিকে রক্ষা করব। এটাই আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম। ইউক্রেনের জয় হোক”।

ইতিমধ্যেই চায়না ও পাকিস্তান রাশিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ১০০ ডলারে। বিশ্ববাজারে এই যুদ্ধের প্রভাব যে কতটা সুদূরপ্রসরী আগেই আন্দাজ করেছিলেন সমস্ত অর্থনীতিবিদরা। ভারতবর্ষকেএখনওপর্যন্ত কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু মাথায় চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে ভারতের মানুষদের কপালে।




Leave a Reply

Back to top button