“ভোট দিতে গেলে ছেলেকে মারধর করে তারা” পুরভোটের আবহে তৃণমূলের দিকে উঠছে অশান্তির অভিযোগ

রাজ্যে বেজে গেছে নির্বাচনী দামামা। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ( Municipal Election 2022 ) ভোটগ্রহণ পর্ব। তবে এই ভোটগ্রহণের মধ্যে দিয়েই উঠে আসছে একাধিক অশান্তির খবর। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা থেকেই উঠে নানা রকম অশান্তির খবর। এদিন চাকদা পুরসভায় শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছোঁড়ে সকল বিরোধীরা। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা।
উল্লেখ্য, চাকদা পুরসভায় মোট ৮টি ওয়ার্ড আর অধিকাংশ ওয়ার্ড থেকেই আসছে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ। এদিন চাকদা ২০ নং ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী ( Municipal Election 2022 ) তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেন, “আমরা সকালবেলা গেলাম, তখন প্রথমেই আমাদের বাঁধা দেওয়া হল। পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দিল। তারপরও কাকুতি-মিনতি করে ঢুকলেও একটি নির্দিষ্ট টাইম বেঁধে দেওয়া হয় আমাদেরকে।”
সিপিএম প্রার্থীর আরও অভিযোগ, “সরকারের হাতে ক্ষমতা রয়েছে আর তাঁদের অঙ্গুলিহেলনেই এই ঘটনাগুলি ঘটছে। এছাড়াও, আমাদের ভয় দেখানো হয়। আমাদের যে কটা বুথ ছিল সেই সকল বুথ থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় সব থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়টি হল, বিরোধীদের এই ভাবে ভয় দেখানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে ( Municipal Election 2022 ) অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তার পরও এখনও অবধি কোনও প্রকার সাহায্যই মেলেনি তাঁদের কাছ থেকে।”
আরও পড়ুন….কার হাতে থাকছে হুগলীর ১২টি পুরসভার স্টেয়ারিং, ফিরে দেখা পূর্ববর্তী পুরযুদ্ধ
সকাল ত্থেকেই রাজ্যের নানা পুরসভা থেকেই উঠে আসছে অশান্তির অভিযোগ। এদিন, চাকদার পাশাপাশি কানলার ১৬ নং ওয়ার্ডে দেখা যায় অশান্তির চিত্র। ভোট দানে বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন সেখানকার সাধারণ ভোটাররা। এছাড়াও, তৃণমূলের নিম্ন স্তরের কর্মীদের দিকেও অত্যাচার ও দাপটের অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। এদিন ( Municipal Election 2022 ) সেখানকার এক মহিলা ভোটারের দাবি, “আমি আর আমার ছেলে দাঁড়িয়ে ছিলাম ভোট দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ পর শুনি আর নাকি ভোট দেওয়া যাবে না। আমার ছেলেকে মারধর করা হয়। কারণ, ও ভোট দিতে গিয়েছিল, কিন্তু ওকে দরজা সামনে থেকেই ফিরে যেতে বললে নিজের মৌলিক অধিকারের কথা বলে প্রশ্ন তোলে আমার ছেলে। যার জেরে ওই দুষ্কৃতিরা একপ্রকার মারমুখী হয়ে ওঠে, অশ্রাব্য গালাগালি দেয়।”