Russia-Ukraine War : ২দিন আগেও জামা সেলাই করতেন, আজ বানাচ্ছেন বাঙ্কার! যুদ্ধের কি নিষ্ঠুর পরিহাস

অহেলিকা দও, কলকাতা : ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ এই বার্তাই ইউক্রেনবাসীর জন্য এখন প্রযোজ্য। মানুষ চাইলে কি না করতে পারে। দুদিন আগে যারা কাজে গিয়েছিল বা নিজের ব্যবসা সামলাচ্ছিল, রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধে ( Russia-Ukraine War) সেই চিত্র এখন পুরোটাই আলাদা। চারিদিকে বোমাবর্ষণ। আর এরমধ্যে নিজেদের রক্ষা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তাই নিজেদের পরিবারের জন্য নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার পাশাপাশি সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রতিটা ইউক্রেনের ( Ukraine) যুবরা। সেই কারণেই প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির ( Volodymyr Zelenski) ডাকে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন অনেকেই। এমনকি যারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাচ্ছেন না তারাও কয়েকশো ব্যাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে সুরক্ষিত রাখছেন।
রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই ( Russia-Ukraine War) করতে নিজেরাই মাঠে নামলেন ইউক্রেনবাসী। রাশিয়ার মতো এতো অস্ত্র ইউক্রেনের নেই সেটা জেনেও হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি তারা। নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে তারা আগ্রাসী সেনাদের বাঙ্কার ও বহুতল বাড়ি যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন তা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
এক সাংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, শনিবার কিয়েভের রাস্তায় সাধারণ মানুষদেরও রুশ সেনার বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। ইউক্রেনের সেনা রাস্তাগুলি ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজেদের ট্রাক্টর ও বড় গাড়িগুলিকে রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে রেখেছে যাতে রুশ সেনারা তাদের লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মাঝে অন্য চিত্র, কেনই বা ভারত ছেড়ে ইউক্রেনে মেডিক্যাল পড়তে যায় পড়ুয়ারা? রইল কারণ
কিয়েভের পার্শ্ববর্তী শহরে যেখানে একাধিক স্টিলের কারখানা রয়েছে তারা মজুত স্টিল দিয়ে পথ আটকানোর ব্যবস্থা করেছে। আত্মরক্ষার জন্য তারা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন স্টিলের রড। সেলাই কারখানার যেসমস্ত কর্মীরা সাধারণত ইউনিফর্ম বানিয়েই অভ্যস্ত তারাই আজ সেলাই করছেন স্যান্ডব্যাগ। আবার অনেকে একেরপর এক বস্তা রেখে অস্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করছেন।
রূশ সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচার একমাত্র অস্ত্র হলো পেট্রোল বোমা। শুক্রবারই ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে ( Russia-Ukraine War) টুইটারে পেট্রোল বোমা তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বলা হয়েছে। নিজেদের আত্মরক্ষার ( Russia-Ukraine War) স্বার্থে লোহার রড, পেট্রোল বোমা ইত্যাদি যা কিছু দিয়ে লড়াই করা সম্ভব সম্ভব, তা মজুত রাখতে বলা হয়েছে। গাড়ি পার্কিং, গ্যারেজ, বিভিন্ন জায়গায় বেসমেন্টেই আশ্রয় নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেখানেও মজুত রাখা রয়েছে আত্মরক্ষার হাতিয়ার।
আরও পড়ুন- Russia-Ukraine war: আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ইউক্রেনের সুন্দরী সাংসদ, পুতিনের বিরুদ্ধে লড়াই থামছে না