বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি, পুরযুদ্ধের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধকে সফল করতে মরিয়া বিজেপি

পুরসভা নির্বাচনে সন্ত্রাস ও হিংসার জেরে শাসকের বিরুদ্ধে গিয়ে বঙ্গে বন্ধের ( Bengal Bandh ) ডাক দেয় বিজেপি। সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা গেছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে। অবশ্য বিজেপির এই বাংলা বন্ধের ডাকে বিশেষ আমল দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেন তেন উপায়েই পরিস্থিতি ( Bengal Bandh ) স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন তরফে। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে স্কুল, কলজে, দোকানপাট ও গণপরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিকই ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে খানিক উত্তেজনা।

বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে প্রথমদিকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা স্বাভাবিক থাকলেও, উত্তরবঙ্গে বন্ধের প্রভাব বাড়ছিল ( Bengal Bandh ) উত্তরোত্তর। কোচবিহারে ১২ ঘণ্টার ডাকা বাংলা বন্ধের প্রভাব সকাল থেকেই আংশিক ভাবে দেখা যাচ্ছিল। বেসরকারি বাস দেখা না গেলেও, সরকারি বাস সচল ছিল। এছাড়াও টোটো, অটো চলছিল তবে সংখ্যায় অল্প। কিছু কিছু জায়গায় গণপরিবহণ রাস্তায় চলতে দেখে অবরোধ করে বসে বিজেপি কর্মীরা।

Bengal Bandhএদিকে, দক্ষিণবঙ্গের উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতায় সকাল ৯টা থেকেই শুরু বন্ধের কর্মসূচি। তবে রাজ্য জুড়ে বিজেপির প্রভাবকে রুখতে এদিন আবার বিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। কোচবিহারের পথে বিজেপির বিরুদ্ধে ( Bengal Bandh ) মিছিলে নামে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনএনটিটিইউসি। উল্লেখ্য,  বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধ উত্তরবঙ্গে প্রভাব ফেলেছে বেশ। এদিন বালুরঘাটে বিজেপির ডাকা বন্ধকে ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা। বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডে বসে বিক্ষোভ দেখালে বিজেপি কর্মীদের সরানোর উদ্যোগ নেয় বালুরঘাট পুলিশ। এমতাবস্থায় দুই দিকের মধ্যেই শুরু বচসা এবং অবশেষে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে নামে বিজেপি।

আরও পড়ুন…..পাওয়া গেছে চলমান চুল্লির হদিশ , গোপনে পুড়ছে রাশিয়ান সৈন্যের দেহ

এদিকে, শিলিগুড়িতে বন্ধ রুখতে জলকামান নিয়ে প্রস্তুত থাকে শিলিগুড়ি পুলিশ। তবে বিশেষ সুবিধা হয়নি তাতে। বিজেপির ডাকা বন্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চক, বিধানমার্কেট, পানিট্যাঙ্কি মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মাটিগাড়া নকশাল বাড়ি বিধায়ক অন্দন্দময় বর্মন। প্রথমদিকে পুলিশ বাঁধা দেয়। কিন্তু খানিকের মধ্যে পরিস্থিতি বেরিয়ে যায় হাতের বাইরে। ধস্তাধস্তি ( Bengal Bandh ) শুরু হয় বিজেপি কর্মী ও উত্তরবঙ্গ পুলিশের মধ্যে। যার জেরে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয় উত্তরবঙ্গের বিজেপি ওই দুই বিধায়ককে। নিয়ে যাওয়া হয় নকশাল বাড়ি থানায়। সেখানেও বিধায়কদের গ্রেফতার করার বিরুদ্ধে এক জোট হয় সমস্ত বিজেপি কর্মীরা। গানের মাধ্যমে চলে প্রতিবাদ। বিধায়কদের গ্রেফতার করা নিয়ে ইতিমধ্যে সরগরম উত্তরবঙ্গ। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দোকানপাট। বাংলা বন্ধকে সফল করতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি।




Leave a Reply

Back to top button