“সিট-এর উপর নেই ভরসা, জেলা জজ ছাড়া দেহ তোলা যাবে না!” বললেন আনিসের বাবা

হাই কোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্ত হবে ছাত্রনেতা ( Anis Khan Murder Case ) আনিস খানে দেহ। শনিবারের পরিবারের বারণ সত্ত্বেও পুলিশ দেহ তুলতে গেলে দেখা যায় বিক্ষোভ। সিটের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে বসেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। এরপর সিধান্ত হয় সোমবারই দেহ তুলতে দেওয়া হবে দাবি করেন আনিসের বাবা। সেই কথা মতোই এদিন ছাত্রনেতার দেহ কবর থেকে তুলতে সোমবার সকালেই হাজির হয় সিটের সদস্যরা। তিন সদস্যের এই দলে রয়েছেন হাওড়ার বিএমওএইচ এবং এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁরা প্রথমে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তার পর দেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে এমতাবস্থায় আনিসের বাবা বলেন, জেলা জজ না এলে দেহ কবর থেকে তুলতে দেবেন না তিনি।
সিটের সদস্যরা আনিসের বাবাকে দেহ সনাক্ত করার জন্য যেতে বলে কিন্তু তাতে তিনি রাজি হন না। তিনি সাফ মানা করে দেন এবং তাঁর পরিবর্তে ছাত্রনেতা আনিস খানে ( Anis Khan Murder Case ) দাদা ও কাকার ছেলেকে সেই দেহ সনাক্তকরণের জন্য পাঠিয়ে দেন। উল্লেখ্য, এদিন সিটের সদস্যরা কবর থেকে ছাত্রনেতা আনিস খানের দেহ তুলতে এলে সাফ মানা করে দেন তিনি। বলেন, ‘জেলা জজের সামনেই দেহ তোলা যেতে পারে।’ এই বিষয়ে নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
আনিসের পরিবারের দাবির মোতাবেক ডেকে পাঠানো হয় জেলা জজকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি পৌঁছে যান সেই এলাকায় যেখানে আনিসের দেহ কবর ( Anis Khan Murder Case ) দেওয়া হয়েছে। এরপর শুরু হয়ে যায় আনিসের দেহ কবর থেকে তোলার কাজ। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, দেহ কবর থেকে তোলার পর সোজা নিয়ে যাওয়া হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই হবে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কাজ। ময়নাতদন্ত চলাকালীন সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে জেলা জজকে।
প্রসঙ্গত, আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একাধিক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। গ্রেফতার করা দু’জন রাজ্য পুলিশকেও। কিন্তু তাতে মেলে না কোনও রকমের সুরাহা। এক দিকে নিজেদের দিকে আসা অভিযোগ থেকে পিঠ বাঁচাতে তৃণমূল দাবি করে বেরায় আনিস ( Anis Khan Murder Case ) তাঁদের ঘরের ছেলে। অন্যদিকে মৃত্যু রহস্য প্রকাশ্যে আনার দাবি নিয়ে সড়কে আন্দোলন করে বেরায় বঙ্গ বাম। কলকাতার রাস্তায় দিনের পর দিন চলে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রনেতা আনিস খানে মৃত্যু রহস্য প্রকাশ্যে আনার দাবি নিয়ে শহরের রাস্তায় সচ্চার হয় একাধিক কলেজের পড়ুয়ারা।