রাজ্য রাজনীতির উত্তেজনায় বলি সাধারণের, লোকাল ট্রেন আটকে সপ্তাহের প্রথমদিনই বিপদে ফেলল বিজেপি

বিজেপির বিক্ষোভে জেরবার জনসাধারণ। গত পুরভোটের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য বাংলা বন্ধ ডাকে বিজেপি। আর এই বাংলা বন্ধ ( Bengal Bandh ) ইস্যু নিয়েই সকাল থেকে উতপ্ত রাজ্য। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বিজেপির কর্মসূচি; তবে প্রথমদিকে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ে উত্তেজনা। উতপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট, শিলিগুড়িতে দেখা যায় বিজেপি ও রাজ্য পুলিশের ধস্তাধস্তি। তবে এই বাংলা বন্ধকে সফল করাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের মর্যাদা হারিয়ে ফেলছে বিজেপি, এমনটাই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।

১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধকে সফল করাতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। এদিকে, আজ সোমবার সপ্তাহের প্রথমদিন। ফলত আজ রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও বেশি এবং অধিকাংশ মানুষই বেরিয়েছেন কাজের জন্য। এমতানবস্থায়, গণপরিবহণ রুখে এক দিক থেকে সাধারণ মানুষকেই বিপদে ফেলছে বঙ্গ বিজেপি। এদিন কর্মসূচি সফল করতে সকাল সকাল হুগলীর একটি লোকাল ট্রেন আটকায় বিজেপি। বাংলা বন্ধকে ( Bengal Bandh ) সফল করতে সকাল থেকে বর্ধমান, হুগলীতে রেল অবরোধ করে বসে বিজেপি কর্মীরা। যার জেরে সপ্তাহের প্রথমদিন হওয়ায় বেশ অসুবিধার মুখেই পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

Bengal Bandhএখানেই না থেমে এদিন আবার শ্যামনগরে স্টেশনের লাইনে অবরোধে বসে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, যে ভাবে গতকাল পুরভোটের দিন তাদের উপর অন্যায় ও অত্যাচার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়নি। এই ঘটনা বিরুদ্ধেই এদিন সোচ্চার হয়েছে ( Bengal Bandh ) বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের মধ্যে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেই দাবী বঙ্গ বিজেপি কর্মীদের। তবে এই বাংলা বন্ধের জেরে রীতিমতো ভুগতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। এদিন শ্যামনগর স্টেশনে দু’টি ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি। একটি ট্রেন ডাউনের ও অপরটি আপের ট্রেন ছিল। সপ্তাহের প্রথমদিনই বিক্ষোভের জেরে রীতিমতো চাপে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের।

আরও পড়ুন….IPL 2022: এবার ট্রাক ড্রাইভারের পেশায় বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক MS Dhoni

উল্লেখ্য, সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাস্তায় বসে অবরোধ ( Bengal Bandh ) করে বিজেপি কর্মীরা। যার জেরে একাধিক জায়গায় পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুরনির্বাচনের জেরে রাজ্যে যেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। গতকালের মতোই একাধিক জায়গা থেকে আসছে মারপিট-দাঙ্গার খবর। আর সব সমস্যার মাঝে সর্বদা বলি হয়ে পড়ছে জনগণ।




Leave a Reply

Back to top button