খারকিভে রাশিয়ার বোমার হামলায় মৃত্যু ভারতীয় পড়ুয়ার, কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার?

রাশিয়ারা আক্রমণে ক্লান্ত ইউক্রেনবাসী। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ( Indian Student ) খারকিভ শহরে লাগাতর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এমতাবস্থায়, যথেষ্ট চিন্তায় দিন কাটছে ইউক্রেনবাসীদের। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে এদিক-ওদিকে। এদিন রাশিয়ার বোমা হামলার জেরে মৃত্যু হল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। তার মৃত্যুর জেরে উত্তেজনার আবহ পৌঁছে গেছে ভারতেও। এই পরিস্থিতি কোন পথে হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার? রয়েছে একাধিক প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, এদিন রাশিয়া ইউক্রেনের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ যায় এই ভারতীয় পড়ুয়ার। কিছুখন আগেই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, খারকিভে গতকাল থেকেই একের পর বোমা হামলা চালাচ্ছিল রুশ সেনা। আর সেই হামলার মাঝে পড়েই প্রাণ গেল এই পড়ুয়ার। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইটারে বলেছেন, “গভীর শোকের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে এদিন সকালে খারকিভে বোমা বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন এক ভারতীয় পড়ুয়া। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” এদিন তিনি আরও লেখেন, “মৃতের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।” সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়া নবীন শেখারারাপ্পা গ্যানাগৌড়ার উত্তর কর্ণাটকের বাসিন্দা। ইউক্রেনে মেডিক্যালের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সে। সুপারমার্কেট থেকে খাবার কিনে আনতেই সকাল সাতটা নাগাদ রাস্তায় বেরোয় সে। তখনই খারকিভে একটি বোমার হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মরদেহ আপাতত খারকিভে একটি মর্গে রাখা আছে।
Ministry of External Affairs says that an Indian student lost his life in shelling in Kharkiv, Ukraine this morning. The Ministry is in touch with his family. pic.twitter.com/EZpyc7mtL7
— ANI (@ANI) March 1, 2022
প্রসঙ্গত, খারকিভে লাগাতর বোমা বর্ষণ করে চলেছে রুশ বাহিনী। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের সরকারি সদর দফতরে এদিন হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সেখানেই বোমার বর্ষণে প্রাণ গেল এই পড়ুয়ার। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর অরিন্দম বাগচী টুইটার মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন, “বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূতদের ফোন করেছেন। ইউক্রেনের খারকিভ এবং অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ এলাকায় আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদভাবে জুরুরি ভিত্তিতে এই দেশে ফেরানোর আবেদন জানাবে।” তিনি টুইটে লিখেছেন, “এই পদক্ষেপ রাশিয়া এবং ইউক্রেনে থাকা আমাদের দূতের তরফেও নেওয়া হয়েছে।”