Kolkata Environment: ‘সবুজ’ ঝড়েই কি মুছে যাচ্ছে সবুজ, বনবিভাগের রিপোর্টে অস্বস্তিতে কলকাতা প্রশাসন

কলকাতা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ ( Kolkata Environment)। তিলত্তমাকে গ্রাস করছে কংক্রিট। আর এমতাবস্থাতেই উঠে আসল এক গুরুত্বপূর্ন প্রতিবেদন। এই রিপোর্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, কলকাতা হারাচ্ছে সবুজ ( Kolkata Environment)। তাহলে কি ‘সবুজ’ ঝড়েই মুছে যাচ্ছে সবুজ? 

সম্প্রতি ‘ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, এই এক দশকে ভারতের সাতটি প্রধান শহর নিজের বনাঞ্চল হাড়িয়েছে। শুধুমাত্র যে বনাঞ্চলই কমেছে তা নয়, শহর হাড়িয়েছে তার সবুজ ( Kolkata Environment)। ‘ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’ হল একটি স্বয়ংক্রিয় সংস্থা। পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে কাজ করে এই সংস্থা৷ এই সংস্থার করা জরিপ অনুসারে, কোন এলাকায় যদি ৭০% বা তার বেশি সবুজে ছেয়ে থাকে তবে তাকে “খুব ঘন বন” বলা হয়। আবার ৪০%-৭০% সবুজ থাকলে তা “মাঝারি ঘন বন” এবং ১০%-৪০% সবুজ থাকলে তাঁকে বলা হয়  “উন্মুক্ত বন”। 

Kolkata Environment

ভারতের বন বিভাগের রিপোর্ট বলছে ২০২১ সালে কলকাতায় প্রায় ১.৮০ বর্গ কিমি বনভূমি ছিল, যা আসলে তিলত্তমার আয়তনের ১% এরও কম। তার মধ্যে ১.৭ বর্গ কিমি “উন্মুক্ত ঘন বন” বিভাগের অধীনে এবং বাকি অংশটিকে “মাঝারি ঘন বন” বলা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বনভূমি প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। ২০১১ সালে সবুজের বিস্তার ছিল ২.৫ বর্গ কিমি।

আরও পড়ুন- গোমূত্রের ওপর বাড়তি গুরুত্ব , পদ্ম শিবিরের দেখানো পথেই এবার ছত্তিশগড়

অধ্যয়ন করা সাতটি শহরের মধ্যে আহমেদাবাদ শহর বেশি বনভূমি হারিয়েছে। প্রায় ৪৭%। অন্যদিকে, মুম্বাইয়ে ২০২১ সালে প্রায় ১১১ বর্গ কিমি বনভূমি ছিল, যা স্বপ্ন নগরীর এলাকার প্রায় ২৫ শতাংশ। গত এক দশকে এটি প্রায় ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। হায়দরাবাদ এবং দিল্লি প্রায় ১৩ শতাংশ সবুজে ঢাকা। ব্যাঙ্গালোর প্রায় ৭% সবুজে ঢাকা। এই রিপোর্ট বলছে, কলকাতা সবুজ সংগ্রহে পিছিয়ে পড়েছে।

এই রিপোর্ট ( Kolkata Environment) নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “যদিও আমরা গাছ লাগিয়েছি, প্রায়শই সেগুলি যেমন রাখা উচিত ছিল তেমন রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় না। আমি শহরে ‘বনায়ন কর্মসূচি’ চালু করার চেষ্টা করছি। এই রিপোর্টের ( Kolkata Environment) পরে আমাদের কাজ করতে সুবিধাই হবে।” কলকাতায় পার্ক ও উদ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র কাউন্সিলের সদস্য দেবাশীষ কুমার অবশ্য বলেছেন, “আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাছ রোপণ করেছি কিন্তু ঘূর্ণিঝড় এবং অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলিই আসলে ধারাবাহিক গাছ কাটার কারণ।”

আরও পড়ুন- ইউক্রেনকে অস্ত্রের মাধ্যমে সাহায্য ন্যাটো-র, কিন্তু পরিসংখ্যান দিচ্ছে অন্য হিসেব




Leave a Reply

Back to top button