Marriage Anniversary : মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার, বিবাহবার্ষিকীতে নজির গড়লেন বীরভূম দম্পতি

মানব শরীর বড়ই জটিল। তাই তো মরদেহকেও লাগানো হয় সঠিক কাজে। মারা যাবার পরও দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। সেই সচল অংগ যদি কোন অভাবী মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় তাহলে সেই অঙ্গ কাজে লাগতে পারে।
সেই অংগিকারকে সামনে রেখেই বীরভুমের এক দম্পতি নজির গড়লেন। বিবাহ বার্ষিকীর (Marriage Anniversary) আনন্দ অনুষ্ঠানেই মরণোত্তর দেহদানের (Body Donation) অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করলেন স্বামী-স্ত্রী। এই নিয়ে তাদের পরিবার তো বটেই গোটা বীরভূমে সারা পড়ে গেছে।
বীরভূমের দুবরাজপুর (Dubrajpur) পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বরূপ আচার্য্য (৪৮)। স্বরুপ পেশায় একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, সহধর্মিণী সুমনা চক্রবর্তী (৩৮) একজন শিক্ষিকা, সমাজকর্মীও বটে। তাঁদের ১৮তম বিবাহ বার্ষিকীর (Marriage Anniversary) দিন তারা দুজনে দুজনের হাতে হাত রেখে শপথ নিলেন ‘এই দেহ দিবে মোরা সকাতরে’। নিজেদের বিবাহ বার্ষিকী ( Marriage Anniversary) দম্পতি পালন করলেন এক ব্যতিক্রমী ভাবনায়। মানব সেবার ব্রতকে মনে রেখেই মরণোত্তর দেহদানের (Body Donation) অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করলেন স্বরূপ ও সুমনা।
আরও পড়ুন- “ওটা যেনো একটা নরক”- ইউক্রেন থেকে ফিরে প্রতিক্রিয়া ভারতীয় ছাত্রের
বিবাহ বার্ষিকীর ( Marriage Anniversary) অনুষ্ঠানে উভয়ের সম্মতিক্রমে এই উদ্যোগ নেন তারা। এই উদ্যোগ সফল করতে সাহায্য করেন, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বীরভূম (Birbhum) ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি প্রিয়নীল পাল। তিনিই দুজনকে অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করান। প্রসঙ্গত, এই সংস্থাটি জেলার সিউড়ি, রামপুরহাট,বোলপুর- তিনটি সাব ডিভিশনেরই দায়িত্বে রয়েছে। এদিন স্বরূপ ও সুমনা অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করে জেলায় যে নজির গড়লেন, তার প্রশংসা পঞ্চমুখ হয়েছেন সকলেই।