কেমন থাকে স্লোগান মুখর রাত, রাত জাগা আন্দোলনে কতটা প্রতিস্পর্ধার স্বপ্ন দেখায় বিশ্বভারতী

এই নিয়ে বেশ কয়েকটা আন্দোলনে রাত জাগার অভিজ্ঞতা হলো। শুরু করেছিলাম ২০১৮তে! তা যাই হোক! হ্যাঁ তো বর্তমান রাত জাগা আন্দোলনের পরিচয় “বিশ্বভারতী ( Visva-Bharati ) সাধারণ ছাত্রছাত্রী আন্দোলন ২০২২”। একটা আন্দোলন চলাকালীন আপনারা কী দেখেন? Same Old Thing? মানে, “উত্তপ্ত…উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!….” তো? তাহলে আমি বলি পরপর দুদিন একটা ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে আমার ‘প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ’।
বিশ্বভারতীতে ( Visva-Bharati ) দীর্ঘদিন ধরেই কতৃপক্ষ বিরোধী নানান ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠছে। কখনও তাতে সফল হচ্ছি আমরা, অর্থাৎ আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা, কখন আবার কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে পিছ পা হটতে বাধ্য হচ্ছি, অন্তত ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্তু সব মিলিয়ে যা দেখছি, এই ‘ভয়’-টা অন্তত এইবারের আন্দোলনে আর ততটাও প্রকট নেই। এই আন্দোলনে আমাদের মূল দাবী ৩টি –
১. অবিলম্বে সমস্ত হষ্টেল খুলতে হবে।
২. ৬০ শতাংশের বেশি দিন অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইন ক্লাস নেওয়া যাবে না।
৩. মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে।

Visva-Bharati
সোমবার সকাল থেকে, যখন থেকে এই আন্দোলন অন্য রূপ নিচ্ছে, ঠিক সেই সময় থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলাম। কর্তৃপক্ষের সমস্ত চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে বিক্ষোভে উপচে পড়ছে শিক্ষার্থীদের শ্রোত। তারই মধ্যে বিভিন্ন রঙ। বিভিন্ন রঙের পতাকার ভিড়ে দলে দলে মানুষ। কিন্তু একতা!

দিনের বেলা আন্দোলনের যে রূপ দেখা যায়, যত সময় যায়, রাত হয় ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাতে থাকে। নিস্তবদ্ধতার মধ্যে দিয়েও দৃপ্ত কন্ঠে আমরা জানান দিই, ‘আওয়াজ দো.. হাম এক হ্যয়’। গানে স্লোগানে প্রতিবাদের হুঙ্কারে আমরা জানান দিই, জাগতে রাহো…

উপাচর্য পলাতক, অগত্যা প্রায় দুদিন রেজিষ্ট্রারকে নানান ভাবে প্রশ্ন করলাম আমরা। জানালাম কতটা প্রয়োজন এই মুহূর্তে অন্তত হষ্টেলটুকু খুলে দেওয়ার। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অফলাইন ক্লাস। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী থাকবে কোথায়? কিন্তু আমাদের অবস্থানের ৪২ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরেই আপাতত স্বেচ্ছায় বন্দি রয়েছেন রেজিষ্ট্রার, প্রক্টারসহ কয়েক আধিকারিক। সোমবার গতানুগতিকভাবেই আমরা অবগত ছিলাম বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাবাহিনীর কড়া নজরদারীর। পাশাপাশি দেখলাম সেই কড়া নজরদারী উপেক্ষা করার দুঃসাহসিকতা। একপ্রকার পিছ পা হটতে বাধ্যই হয়েছেন তাঁরা, ছাত্রছাত্রীদের প্রচন্ড গর্জনই তার মূল কারণ বলে বোধ করি। আপাতত বিক্ষোভ-অবস্থানের মধ্যে দিয়েই আমাদের লড়াই চলছে এবং দাবী না মানা পর্যন্ত এই লড়াই জারী থাকবে।




Leave a Reply

Back to top button