আর ফেরা হল না দেশে, নবীনের পর আরও এক ভারতীয় পডুয়ার মৃত্যু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে

অঙ্কিতা চক্রবর্তী, কলকাতা : ইউক্রেনে প্রাণ গেল আরও এক ২২ বছরের তরতাজা ভারতীয় ছাত্রের। পড়ুয়ার নাম চন্দন জিন্দাল, বাড়ি পাঞ্জাবের বর্নালা জেলায়। সরকারি সূত্রের খবর, ইউক্রেনের একটি এমার্জেন্সি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু ঘটে তার।
বছর বাইশের যুবক চন্দন ইউক্রেনের ভিন্নেত্সিয়া (Vinnytsia) মেমোরিয়াল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্নেত্সিয়া ন্যাশনাল পায়রোগোভের (Vinnytsia National Pyrogov) পড়ুয়া ছিল। সূত্রের খবর, ব্রেনে ইস্কেমিয়া স্ট্রোক নামের এক রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তার।
চন্দনের কাকা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে নাগাদ ওই পড়ুয়ার শরীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়ে প্রথম জানেন তাঁরা। এরপর ছেলের অসুস্থতার কথা শুনেই চন্দনের বাবা এবং তিনি ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ নাগাদ পৌঁছে যান ইউক্রেনে। পরবর্তীতে তিনি ফিরে এলেও ছেলের কাছেই থেকে যান ওই পড়ুয়ার বাবা।( Ukraine-Russia War) ছেলের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সলকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন চন্দনের পরিবার। বর্নালার ডেপুটি কমিশনার জানান, মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছে প্রশাসন এবং পড়ুয়ার দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বিদেশমন্ত্রক মারফৎ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার খারকিভে রুশবহিনীর ( Ukraine-Russia War ) বোমাবর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে প্রথম ভারতীয় ছাত্রের। কর্নাটকের হাভেরি জেলার বাসিন্দা বছর একুশের ওই ছাত্রের নাম নবীন শেরখাপ্পা জ্ঞানগউধর। ইউক্রেনের মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ছিল নবীন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বেরিয়েছিল সে। সেখানেই দোকানের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আচমকাই বোমা পরে তার ওপর এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পর হাভেরি জেলার মুখ্যমন্ত্রী যোগাযোগ করেছেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ বাড়ি আনার বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রাখছেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মৃত ছাত্রদের পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছে বিদেশমন্ত্রক।
এছাড়াও যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়ারা খারকিভ, কিয়েভ সহ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকা পড়ে রয়েছে, তাদের ফেরানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সরকারিভাবে। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধের বলি হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি প্রাণ। এবার সেই তালিকায় যোগ হল দুই ভারতীয় পড়ুয়ার নামও। যুদ্ধক্ষেত্র আটকা পড়ে রয়েছেন অসংখ্য ভারতীয়। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ‘অপারেশন গঙ্গা’-র পরিনতিই বা কি, তা নিঃসন্দেহে প্রশ্নের মুখে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন আক্রমণে নিষোধাজ্ঞা চীনের, বেজিং অলিম্পিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ